বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪
বুধবার, ৪ঠা বৈশাখ ১৪৩১
সর্বশেষ
 
 
আমার জীবনের গল্প: যশোদা জীবন
প্রকাশ: ১০:২৩ pm ০৪-০৬-২০২০ হালনাগাদ: ১০:২৩ pm ০৪-০৬-২০২০
 
এইবেলা ডেস্ক
 
 
 
 


আমার জীবনের চরমতম বাস্তবতা এই যে, এক পা ব‍্যবধানে আমার হাতের উপরে ভাই এর এই দুর্বিসহ এক্সিডেন্ট, কোলের মধ্যে ছট ফঠকরে নিশ্চতেজ হয়ে যাওয়া, আমার জীবনের চরমতম কষ্টকর একটা সময় যা আমাকে প্রতি মুহূর্তে শিখিয়ে দেয়, এই জীবন সংসারে আমি বা আমিত্ব বলে কিছু নাই, দুই মিনিটের নাই ভরসা। যদি ঐ বাসটি আর এক হাত বাম পাশ দিয়ে আসতো তাহলে হয়তো আমাদের দুজনেরই গন্তব্যস্থল একই জায়গা হতো। এই ভাতৃবিয়োগে প্রকৃতি আমাকে শেখালো এই বিশ্বব্রহ্মান্ডে আমরা এক ক্ষনস্হায়ী সৃষ্টির সৃষ্ট জীব যখনই ডাক পড়বে চলে যেতে হবে সমস্ত মায়ার বাঁধন কাটিয়ে আর এই চলে যাওয়াটাই প্রকৃতির নিয়ম। এই নিয়মের বাইরে কেউ না। অর্থবিত্ত সম্পদশালী, ধনী-গরীব, রাজা-প্রজা একিই নিয়মে গাঁথা। এই বিয়োগে এক উদাসীন মানুষিকতা তৈরি হয়েছে আমার। সোমা প্রায়ই আমাকে শান্তনা দিতো, শান্তনা দিতো এই বলে যে, এই জাগতিক নিয়ম গুলো মেনে নাও, নতুনত্বকে স্বাগত জানাও, ও আমি বলতে ভুলে গেছি, ইতিমধ্যে আমাদের কোলে ফুটফুটে একটি পুত্র সন্তান এসেছে, সোমা অনেকটাই ওকে নিয়ে ব‍্যস্ত থাকে। কারো আসা আবার কারো চলে যাওয়া এটাই মনে হয় প্রকৃতির নিয়ম। প্রকৃতির এই নিয়ম কখনও কখনও কষ্ট দেয়, কষ্ট দেয় এই ভেবে, চলে তো যেতেই হবে সবারই একদিন কিন্ত এই অসময়ে কেন? জাগতিক এবং প্রার্থিব‍্যের মধ্যে মনে হয় অনেক ফাঁরাক। সৃষ্টির লীলার রহস্য আমাদের মতো মূর্খদের বোঝা বড় দায়। ভালো লাগে না। কোন কাজে মন বসে না। সময় তো আর বসে থাকে না ওটা আবহমান ধরে নিজস্ব কক্ষ পথেই চলছে। মনে মনে ভাবতাম যদি সময় সঙ্গ দিতো তাহলে কলম নয়, পেন্সিলে লিখতাম জীবনটাকে আর কিছু মুহূর্তকে রাবার দিয়ে মুছে দিতাম! কিন্ত সেটাতো আর হবার নয়, সব কিছু মেনে নিতে হয় অথবা মানতে বাধ‍্য হয়। চলতে হচ্ছে এক অজানা গন্তব্যে, মানিয়ে নিতে হচ্ছে সংসারের কিছু বাধা নিয়মে, তবুও আমার ভালো লাগে না, ব‍্যবসা বানিজ‍্যেও কোন মন নাই। কারো জন্য এই জগতের কোন কিছু থেমে থাকে না, থেমে থাকে না সংসার ধর্ম! জীবিকার জন‍্য দৈনন্দিন বাজার, বাচ্চার দুধ, প্রয়োজনীয় জিনিস তো লাগবেই, অর্থের টানাটানি তো চলছেই। সোমার অর্থের প্রতি কোন লোভ ছিলো না কখনোই, হয়তোবা অর্থের টানা পরন দেখেনি কোন দিনই তাই ও জানে না অভাব কাকে বলে। আমার এই ব‍্যর্থতার কথা ওকে বুঝতে দেই না। বেশি মন খারাপ হলে রমনা পার্কে একা একা হাটি, প্রার্থনা করি সৃষ্টিকর্তার কাছে, হে প্রভু আমাকে একটা রাস্তা দেখাও, রাস্তা দেখাও। আমাদের তথাকথিত সমাজ ব‍্যবস্হায় একটা নিয়ম আছে- যখন মানুষ চরম অর্থ কষ্টে পড়ে তখন আপন লোক গুলো যেন সুড়সুড় করে পর হয়ে যায়, দেখা হলে এড়িয়ে যায়, ফোন করলে ধরে না ব্যস্ততার ভান করে, আমার ক্ষেত্রে কোনটাই এর ব‍্যতিক্রম না। সত্যি কথা বলতে দ্বিধা নাই, আমি এমন একটা অবস্থার সম্মুখীন হলাম, বাজার করতে হবে, আরো কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস না আনলেই নয়, হাত একবারে শুন‍্য, আমার হাতে সোনার একটি ব্রেসলেট ছিলো, বিক্রি করে দিলাম, সোমাকে বানিয়ে বললাম- ওটা কোথায় যেন পড়ে গেছে? আসল কথাটা আজ অবধি বলতে পারিনি। বাজার সদাই আনলাম প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রও। একটা ব্রেসলেট বেচার অর্থ কতো দিনই বা চলতে পারে, বড়জোর ২০/২৫ দিন, শেষ হয়ে গেলো দেখতে দেখতে, মানিব‍্যাগে বাকি রইলো দুটো ৫০০ টাকার নোট। কি যে করবো? কোনটাই আমার মাথায় ধরছে না, আস্তে আস্তে এক এক করে সব গুলো দরজা যেনো বন্ধ হতে থাকলো আমার। বাসায় মনের ভেতরে যন্ত্রণায় ছটফট করছি, কি করবো কিছুই যেন বুঝে উঠতে পারছি না, ঘুমানোর জন‍্য চেষ্টা করলাম- সেটাও হলো না, রাত ১২ বেজে গেছে ঘড়ির কাটায়, সোমাকে বলে একটু বের হলাম, বললাম বাইরে থেকে একটু হেটে আসি, ইস্কাটন গার্ডনের বাসা থেকে হাঁটতে হাঁটতে শাহাবাগ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এগিয়ে বাংলা একাডেমি ফেলে ঢুকে গেলাম সোহরাওয়ার্দী উদ‍্যানের মধ্যে, জরাজীর্ণ একটি পুরানো কালী মন্দিরের সামনে পুকুর পারে যেয়ে বসলাম। তখন সময়টা নভেম্বর অথবা ডিসেম্বর মাস, উষ্ণ ঠান্ডা, শীত পরে গেছে, রাত আনুমানিক ১টাতো হবেই। ঘুটঘুটে অন্ধকার, হয়তো আমাবস্যা রাত। আমার কোনটাই খেয়াল নাই কারন আমার জীবনে তো অমাবস্যা শুরু হয়ে গেছে আরও অনেক আগেই। পুকুর পারে বসে বসে ভাবছি, হে সৃষ্টিকর্তা আমাকে একটা রাস্তা দেখাও, ভুলে গেছি সৃষ্টিকর্তাকে ডাকার মন্ত্র তন্ত্র। গীতার শ্লোক গুলোও ভুলে গেছি, মুখস্তই বা কবে করেছিলাম তাও ভুলে গেছি। নিজেকে মনে হচ্ছে কোন এক মহা সমুদ্রের মাঝখানে একটি নৌকায় অত‍্যান্ত গভীর তৃঞ্চার্থ অবস্হায় আছি, যেদিকেই যাবো তৃঞ্চার্থ‍ অবস্থায় মারা যাবো অথবা আমার মনে হচ্ছে আরব‍্য বালুসাগরের মাঝ পথে আমি আছি, সাহায্য করার মতো কেই নাই। মানুষ যখন মৃত্যুকোলে ঢলে পড়ে সৃষ্টিকর্তাকে ডাকে অন্তর থেকে। আমি ঐ সময় সৃষ্টিকর্তাকে ডাকার জন‍্য কোন রকমই ব‍্যাতিক্রম না। সৃষ্টিকর্তাকে ডাকছি মন থেকে আর আমার দু-চোখের অশ্রু জল যেন অঝোর ধারায় ঝরে পড়ছে। সৃষ্টিকর্তা কে ডাকার সময় আমার চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়া অঝোর ধারায় কান্নার জল যেন কোনোভাবেই থামছে না, আমি শিশু বাচ্চাদের মত হাউমাউ করে কাঁদছি।

আমি রমনা কালী মন্দির সম্মন্ধে ইতিহাস আর বই-পুস্তক পড়ে যতোটুকু জেনেছি- রমনা কালী মন্দির ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের দক্ষিণ দিকে ২.২২ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিল রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ীর আশ্রম। সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের ভেতর বর্তমান দিঘিটির পাশেই ছিল প্রায় তিন শ' বছর পূর্বে নির্মিত এই মন্দিরটি যা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। কথিত আছে, শংকরাচার্যের অনুগামী দর্শণার্থী সম্প্রদায় এ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে। প্রায় পাঁচ শ’ বছর পূর্বে বদ্রী নারায়ণের যোশী মঠের সন্ন্যাসী গোপাল গিরি ঢাকায় এসে রমনায় প্রথমে একটি আখড়া স্থাপন করেন। তখন এ আখড়া কাঠঘর নামে অভিহিত হত। পরে (সম্ভবত সতেরো শতকের প্রথমপাদে) এ স্থানেই হরিচরণ গিরি মূল মন্দিরটি নির্মাণ করেন। কালিবাড়ী মন্দিরটি ১৯৭১সালের ২৭ মার্চ পাকিস্তানি হানাদারবাহিনীর আক্রমনে বিধ্বস্ত হয়। তারা মন্দির ও আশ্রমটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী। মন্দিরের সেবায়তসহ প্রায় এক শ’ সন্ন্যাসী, ভক্ত এবং সেখানে বসবাসরত সাধারণ মানুষ নিহত হয়। এ সময় কালী মন্দিরের পুরোহিত ছিলেন শ্রীমৎ স্বামী পরমানন্দ গিরি। প্রাচীন আখড়ার পাশে হরিচরণ গিরি কর্তৃক নির্মিত মন্দিরটি বাঙালি হিন্দু স্থাপত্য রীতি বহন করলেও তাতে অন‍্য রীতির প্রভাব লক্ষণীয়। মূল মন্দিরটি ছিল দ্বিতল। এর দ্বিতল ছাদের উপর ছিল ১২০ ফুট উঁচু পিরামিড আকৃতির চূড়া। মূল মন্দিরটি চতুষ্কোণাকার, ছাদ উঁচু এবং বাংলার চৌচালা রীতিকে অনুসরণ করে নির্মিত। নথিপত্র প্রমাণে দেখা যায় যে, ষোল শতকের শেষভাগে বিক্রমপুর ও শ্রীপুরের জমিদার কেদার রায় তাঁর গুরুর জন্য এ মন্দিরটি নির্মাণ করান। মন্দিরের কৌণিক আকৃতির চূড়ার নিম্নভাগ ছিল ছত্রি ডিজাইন শোভিত। একে একরত্ন মন্দিরের সঙ্গেও তুলনা করা যেতে পারে। মন্দির চত্বরে পুরনো ও নতুন বেশ কয়েকটি সমাধি মন্দিরের কাঠামো ছিল। এই চত্বরে ছিল হরিচরণ ও গোপাল গিরির সমাধি। কালীবাড়ির মন্দিরের ফটকের সবচেয়ে পুরনো যে আলোকচিত্রটি ছিলো তা উনিশ শতকের শেষার্ধে । তখন মন্দিরটি পুরনো ইটের দেয়ালে ঘেরা ছিল। ভেতরে প্রবেশের জন্য দক্ষিণ দিকে একটি নতুন ফটক নির্মাণ করা হয়। অভ্যন্তরভাগে বামদিকে ছিল একটি চতুষ্কোণ ভিত্তির ধ্বংসাবশেষ। এর কেন্দ্রে ছিল একটি বেদী। এখানেই প্রাচীন মন্দিরটি অবস্থিত ছিল। প্রাচীর ঘেরা মন্দিরে একটি সুদৃশ্য কাঠের সিংহাসনে স্থাপিত ছিল ভদ্রকালীর মূর্তি। এই মূর্তির ডানদিকে ছিল ভাওয়ালের কালী মূর্তি। মন্দিরের উত্তর-পূর্ব ও পশ্চিমে ছিল পূজারী, সেবায়েত ও ভক্তদের থাকার ঘর। পাশে একটি শিব মন্দিরও ছিল। আরও ছিল একটি নাট মন্দির ও সিংহ দরওয়াজা। এগুলো আমি ছাত্র অবস্থায় বিভিন্ন বই-পুস্তক ঘেটে জেনেছিলাম।

শ্রী মা আনন্দময়ী আশ্রম- কথিত আছে, কালীবাড়ির সামনের দিঘিটি খনন করান ভাওয়ালের রাণী বিলাসমণি। তবে ইংরেজ আমলের নথিপত্রে দিঘিটি ইংরেজ মেজিস্ট্রেট ড’স খনন করান বলে উল্লেখ আছে। সম্ভবত ভাওয়ালের রাণী দিঘিটির সংস্কার করান। বর্তমানে এই দিঘিটিই রমনা কালী মন্দিরের স্মৃতি ধারণ করে আছে। রমনা কালী মন্দিরের উত্তর পাশে ছিল আনন্দময়ী আশ্রম। আনন্দময়ী ছিলেন একজন সন্ন্যাসিনী যিনি ঢাকার নবাবের শাহবাগ বাগানের তত্ত্বাবধায়ক রমনীমোহন চক্রবর্তীর স্ত্রী। মা আনন্দময়ী আধ্যাত্মিক শক্তির ধারক হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন এবং সাধিকা হিসেবে পূজিত হন। তাঁর ভক্তরা রমনা ও সিদ্ধেশ্বরী কালীবাড়িতে দুটি আশ্রম তৈরি করে দেন। আনন্দময়ী আশ্রমের প্রবেশদ্বার ছিল পূর্বদিকে। পশ্চিম দিকে ছিল একটি নাট মন্দির। এর উত্তর দিকের একটি কক্ষে সংরক্ষিত ছিল মা আনন্দময়ীর পাদপদ্ম। মন্দিরের বেদীর উপর স্থাপিত ছিল বিষ্ণু ও অন্নপূর্ণা বিগ্রহ। কালীমন্দির প্রাঙ্গণে সন্ন্যাসী ভক্ত ছাড়াও সাধারণ কর্মজীবি অনেকেই তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে বাস করতেন এবং মন্দির ও আশ্রমের অনুষ্ঠানাদিতে অংশ নিতেন। বর্তমানে এখানে নতুন করে নির্মিত হয়েছে শ্রী শ্রী কালী মন্দির ও শ্রী মা আনন্দময়ী আশ্রম। মন্দিরের প্রধান ফটক দিঘির উত্তর-পূর্ব পাশে অবস্থিত এবং প্রধান ফটকের বাইরে রয়েছে ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হত্যাযজ্ঞে শহীদদের তালিকা সম্বলিত একটি স্মৃতিফলক।

কতো শহীদের আত্মা যেনো এই নির্জন স্হানে পরমাত্মার সাথে মিলিত হয়েছে, আমার কন্ঠস্বর যেনো আকরে যাচ্ছে, দু-চোখ বেয়ে যাচ্ছে অশ্রু ধারা- হটাৎ করে আমার সামনে দেখতে পেলাম বস্ত্রহীন একটা পাগল, গলায় মনে হলো রুদ্রাক্ষরের মালা, হাতে জরাজীর্ণ একটি লাঠি, তরিৎ গতিতে আমাকে জিজ্ঞেস করলো- এই তুই কি চিন্তা করতেছিস? আমাকে কিছু দে? আমার হটাৎ মনে হল আমার পকেটে দুটি পাঁচ শ' টাকার নোট আছে, এটা রেখেই বা লাভ কি? দিয়ে দেই এই পাগলটাকে, মানিব‍্যাগ খুলে দুটি পাঁচ শ' টাকার নোট দুটি দিয়ে দিলাম ঐ পাগলটিকে, অমনি পাগলটি বুকে হাত দিলো, আমার সামনে ধরলো দশ টাকা আর এক টুকরা পাথর যা ছিলো লাল সিদুরে মিশ্রিত, মুহূর্তের মধ্যে পাগলটি বাতাসের সাথে মিশে গেলো। মুহুর্তের মধ্যে একটা সুগন্ধ আমার নাকে আসলো আর যেটা ছিলো আমার জীবনের উপলব্ধির শ্রেষ্ঠ ঘ্রাণ। একটি জলজ্যান্ত মানুষ চোখের সামনে বিলিন হয়ে যাওয়া এটা কি করে সম্ভব? আমি নিজেও যেনো বিশ্বাস করতে পারছি না। আবার মনে হচ্ছে আমি কি মারা গেলাম, নিজের গায় নিজেই চিমটি কেটে দেখলাম, একটু ব‍্যাথা অনুভব করছি, শ্বান্তনা এই ভেবে যে আমি বেঁচে আছি। প্রশ্ন রাখছি নিজেকে, কি করে ঘটলো এটা? আমি কোন বই পুস্তকের কথা বলছি না, আমার সাথে ঘটে যাওয়ার ঘটনা বলছি। চিন্তা করছি। আমার দুটি পাঁচ শ' টাকার নোট দুটি গেলো কই আর এই দশ টাকা আর পাথর টাই বা আসলো কি ভাবে আমার কাছে? চিন্তা করতে করতে হাটা ধরলাম, ভার্চুয়াল জগতে কতো কিছুই না ঘটে যাচ্ছে যা আমাদের কল্পনারও বাইরে, পার হলাম সোহরাওয়ার্দী উদ‍্যান, টিএসসি বায়ে রেখে হাটা শুরু করলাম শাহাবাগের দিকে, পাবলিক লাইব্রেরী থেকে একটু এগিয়ে, শাহাবাগের একটু আগে, কে যেনো আমার নাম ধরে ডাকছে? এই জীবন, এই জীবন, আমি এদিক ওদিক তাকিয়ে পিছনের দিকে তাকালাম, আমাকে তুই মুই বলে সন্মোধন করছে, আমি না চিনেও চিনার ভান করলাম, কেউ যদি তুই মুই করে সন্মোধন করে তাকে বলা যায়না- ভাই আমি আপনাকে চিনলাম নাতো! রাত তখন ১:৩০ বা ২ বাজে, রাস্তায় সোডিয়াম লাইটের আলোতে সবকিছু আপছা আপছা দেখাচ্ছে, আমাকে তরিঘরি করে বললো, আমি চিটাগাং যাচ্ছি, গাড়ী ছেরে দিবে, আমার কাছে অনেক টাকা। এই টাকাগুলো তুই রাখ আমি পরে এসে নেব, অমনি আমার হাতের উপর চারটা পাঁচ শ' টাকার বান্ডিল দিয়ে দৌড় দিলো মৎস্য ভবনের দিকে। কথা গুলো ছিলো এক মিনিটের ও কম সময়, কথার মধ্যে একটুও সময় দেয়নি প্রতিত্তর দেওয়ার, আমি অবাক দৃষ্টতে তাকিয়ে থাকলাম তার প্রস্তানের দিকে। আমি অদ্যবধি তাকে আর দেখি নাই আর তার পাওনা ফেরত দিতে পারি নাই- আমি আজও তার পথ চেয়ে বসে থাকি হয়তো সে কোনদিন আসবে। চলবে...

নি এম/

 
 
 
   
  Print  
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
আরও খবর

 
 
 

 

Editor & Publisher : Sukriti Mondal.

E-mail: eibelanews2022@gmail.com

a concern of Eibela Ltd.

Request Mobile Site

Copyright © 2024 Eibela.Com
Developed by: coder71