করোনার মোকাবিলায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রস্তাবে অবশেষে পাকিস্তানও রাজি হলো। যদিও দেশের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে সেই সম্মতির কথা জানানো হয়নি।
শনিবার (১৪ মার্চ) পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অয়েশা ফারুকি জানান, সার্ক সদস্যদেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার যে প্রস্তাব ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দিয়েছেন, পাকিস্তান তাতে যোগ দেবে। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ আধিকারিক (স্পেশাল অ্যাসিস্ট্যান্ট) উপস্থিত থাকবেন।
শুক্রবার দুপুরে টুইট মারফত ওই প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, করোনার মোকাবিলায় সার্কের সব দেশের জোটবদ্ধ হওয়া উচিত। এমন একটা কৌশল বা ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার, যাতে সবাই মিলে উপমহাদেশে এই ভাইরাসের সার্থক মোকাবিলা সম্ভব।
পাকিস্তান ছাড়া সার্কের অন্য সদস্য দেশের সবাই শুক্রবারেই মোদির প্রস্তাবকে স্বাগত জানান। প্রথমে টুইট করেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। তারপর একে একে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মহম্মদ সোলি, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসরাফ গনির মুখপাত্র সাদিক সিদ্দিকি। এমনকি সার্ক সচিবালয়ও এই উদ্যোগকে স্বাগত জানায়। কিন্তু শুক্রবার পাকিস্তান ছিল নীরব।
শনিবার সকালে নীরবতা ভেঙে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র একটি টুইটবার্তায় জানান, ভিডিয়ো কনফারেন্সে রাজি ইসলামাবাদ। তিনি বলেন, 'করোনার জন্য আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পর্যায়ে জোটবদ্ধ প্রয়াসের প্রয়োজন। আমরা স্বাস্থ্য বিষয়ক এসএপিএমকে জানিয়েছি যে এ বিষয়ে (আলোচনার জন্য) আমরা সার্ক সদস্যদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করব।'
Spokesperson
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com