গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় আসন্ন শারদীয়া দূর্গাপূজা স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎযাপনের লক্ষে ভরতখালীর জয়কালী মন্দিরে শুক্রবার (২ অক্টোবর) দুপুর ১২ টা ৩০ মিনিটে বাবু গৌতম কুমার চন্দ এর সভাপতিত্বে 'করোনাভাইরাস' প্রতিরোধে জনসচেতনতা মুলক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সরকারের মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশনার উদ্ধৃতি দিয়ে সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, গোটা বিশ্বের চলমান কার্যক্রম মরণ ব্যাধি 'করোনাভাইরাস'র ভয়াল থাবায় স্থবির হয়ে পরেছে। এই ব্যাধি থেকে উত্তরণের জন্য মানুষ মাত্রই কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।তাই অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের পূঁজায় কিছু বিষয় পরিহার করতে বলা হয়েছে।
এরমধ্যে শোভাযাত্রা, মেলার আয়োজন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, উচ্চ শব্দে মাইক বা সাউন্ডবক্স না বাজানো। আলোকসজ্জাসহ অন্যান্য সাজসজ্জা সীমিত আকারে করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিমা দর্শনে ভক্ত দর্শনার্থীদের মাক্স পরিধান, প্রতিটি মন্দিরে হ্যান্ডসেনিটাইজার, সাবান ও পানি নিশ্চিত করতে বলা হয়।
তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে এবারের পূঁজোর যাবতীয় অনুষ্ঠানাদি সুসম্পন্ন করতে বলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শ্রী দোলন বকসি, সাধারণ সম্পাদক, পূঁজা উৎযাপন পরিষদ সাঘাটা। বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রী গৌতম চন্দ্র মোদক, সহ-সভাপতি, পূঁজা উৎযাপন পরিষদ গাইবান্ধা। প্রীতি দে, শ্রী অশোক কুমার সিংহ, শ্রী দীজেন্দ্র নাথ পাল,
শ্রী অসিত কুমার পাল বাবলু, শ্রী ননী গোপাল সরকার, শ্রী শম্ভুনাথ সাহা মিঠু ও শ্রী অনন্ত কুমার দাস প্রমূখ।
উপজেলার ১০ টি ইউনিয়ন হতে স্ব স্ব মন্দিরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন। উপজেলায় এবার সম্ভব্য ৬০ টি মন্দিরে দূর্গাপূঁজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে ৫ম দফার চলমান বন্যা নিম্নাঞ্চলে বসবাসরত বানভাসিদের শারদ উৎসবে প্রভাব পরবে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন।
নি এম/বিজয়
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com