সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪
সোমবার, ২৫শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১
সর্বশেষ
 
 
চীনই করোনভাইরাস ছড়িয়েছে: দাবী হংকং থেকে পালিয়ে আসা ভাইরোলজিস্টের !
প্রকাশ: ১০:২৩ pm ১২-০৭-২০২০ হালনাগাদ: ১০:২৩ pm ১২-০৭-২০২০
 
এইবেলা ডেস্ক
 
 
 
 


চীন প্রথম থেকেই করোনাভাইরাস সম্পর্কে জানতো বলে দাবি করেছে হংকং থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে আসা ভাইরোলজিস্ট লি মেং ইয়ান। তিনি বলছেন, গত বছর ডিসেম্বরের আগেই চীনে সার্স-১ এর মতো ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু এই ভাইরাসের চরিত্র ছিল সার্সের থেকে আলাদা এবং আরও সংক্রামক।

শুক্রবার ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাতকারে হংকং স্কুল অব পাবলিক হেলথের ভাইরোলজিস্ট ও ইমিউনোলজি বিভাগের বিশেষজ্ঞ লি জানান, ২০২০ সালের প্রথমে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর বিশ্ববাসীকে সতর্ক করা দরকার ছিলো চীনের। তিনি বলেন, চীন সরকার হংকংয়ের লোকজনসহ বিদেশী বিশেষজ্ঞকে চীনে গবেষণা করতে দেয়নি।

ভাইরোলজিস্টের কথায়, উহান থেকে ভাইরাসের সংক্রমণের খবর ছড়িয়ে পড়ার অনেক আগেই করোনা নিয়ে গবেষণা শুরু করেছিলেন তিনি। লি বলেছেন, হংকংয়ের বিশেষ বায়োসেফটি ল্যাবে এই নতুন ভাইরাস নিয়ে তিনি পরীক্ষা করতে শুরু করেন। বুঝতে পেরেছিলেন এই ভাইরাল স্ট্রেন অনেক বেশি প্রাণঘাতী। কীভাবে এই ভাইরাসের মোকাবেলা করা যায় তার উপায় খুঁজতে শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু গবেষণার কাজ বেশিদূর যাওয়ার আগেই তার কাছে হুমকি ফোন আসতে শুরু করে। তার কম্পিউটার হ্যাক করা হয়। ব্যক্তিগত তথ্যেও নজরদারি শুরু হয়।

চীনের সরকারি কর্মকর্তারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে জানিয়েছিল ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রামক ভাইরাল স্ট্রেন সার্স-কভ-২ এর কথা চেপে গিয়েছিল তারা। তার বক্তব্য, চীন জানত নতুন এক ধরনের সংক্রামক ভাইরাস মহামারী হতে শুরু করেছে। কিন্তু এই তথ্যই তারা গোপন করেছিল। বিজ্ঞানীদের এই ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করতে দেওয়া হয়নি।

লি বলেছেন, তিনি তার সুপারভাইজারকে এই ভাইরাসের ব্যাপারে জানিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি গুরুত্ব না দেওয়ায় নিজেই গবেষণা শুরু করেন লি। ভাইরোলজিস্টের অভিযোগ, চীনের যেসব ডাক্তার ও বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাস নিয়ে চর্চা করছিলেন তারা হঠ্যাৎ গায়েব হতে শুরু করেন। অনেকের মৃত্যুর খবরও আসে। ভয়ে মুখ বন্ধ রাখেন চিকিৎসকরা।রোগীদের পরামর্শ দেওয়া হয় মাস্ক ব্যবহার করার। কিন্তু এই ভাইরাসের সংক্রমণ যে মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে অর্থাৎ হিউম্যান ট্রান্সমিশন হতে পারে সেই ব্যাপারে কিছুই জানাননি ডাক্তাররা। সকলেই মুখ বন্ধ রাখতে বাধ্য হন।

লি জানান, গবেষণা বন্ধ করার জন্য লাগাতার হুমকি আসছিল। এই ভাইরাস যে মহামারীর পর্যায়ে যেতে পারে সেটা বুঝতে পেরেছিলাম। জানতাম চীনে দাড়িয়ে এ কথা বললে আমাকেও বাকিদের মতো খুন করে ফেলা হত। এর জের ধরে গেল ২৮ এপ্রিল হংকং থেকে ফ্লাইট ধরে তিনি যুক্তরাষ্ট্র পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। সঙ্গে করে নিজের গবেষণার রিপোর্ট, ল্যাবের গোপন ক্যামেরা ও সেন্সরও নিয়ে যান। বিশ্ববাসীকে করোনার সঠিক তথ্য দিতেই তিনি যুক্তরাষ্ট্র পালিয়ে এসেছেন বলে জানান।

সবশেষে লি বলেন, আমার জীবন এখনও সঙ্কটে। হংকংয়ে নিজের বাড়ি ফিরে যেতে পারব কিনা জানি না। এদিকে, হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ও তার পেইজটি সরিয়ে নিয়েছে এবং তার অনলাইন পোর্টাল এবং ই-মেইলে অ্যাক্সেস প্রত্যাখ্যান করেছে, যদিও তিনি বলেছেন যে তিনি অনুমোদিত বার্ষিক ছুটিতে ছিলেন।

নি এম/

 
 
 
   
  Print  
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
আরও খবর

 
 
 

 

Editor & Publisher : Sukriti Mondal.

E-mail: eibelanews2022@gmail.com

a concern of Eibela Ltd.

Request Mobile Site

Copyright © 2024 Eibela.Com
Developed by: coder71