৫৯টি চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার, তাকে স্বাগত জানালেন মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পেও। তিনি জানিয়েছেন, ‘এর ফলে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা ও অখণ্ডতা আরও জোরদার হবে।’
সোমবার চীনা অ্যাপগুলি নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও একই দাবি উঠেছে। মার্কিন কংগ্রেসের অনেক সদস্যই টিকটক নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, এই শর্ট ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ দেশের নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক। রিপাবলিকান সেনেটর জন করনিন বলেছেন, ‘(লাদাখে) রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর টিকটক সহ বেশ কয়েকটি চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে ভারত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও একই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’ অপর এক রিপাবলিকান সেনেটর রিক ক্রফোর্ড বলেছেন, ‘টিকটক অবশ্যই নিষিদ্ধ করা উচিত। আগেই এটি নিষিদ্ধ করা উচিত ছিল।’
গত সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়েন দাবি করেন, ‘চীনের মালিকানাধীন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টিকটক ব্যবহার করেন চার কোটিরও বেশি মার্কিন নাগরিক। অনেক বাচ্চা ও তরুণ চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সমালোচনা করছেন। তাঁরা বেজিংয়েরও সমালোচনা করছেন। কিন্তু তাঁদের সেই মন্তব্য সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বা মুছে ফেলা হচ্ছে।’
মার্কিন সরকারের আধিকারিকরা যাতে তাঁদের ফোনে টিকটক না রাখেন, সেই নির্দেশ দেওয়া সংক্রান্ত দু’টি বিল মার্কিন কংগ্রেসের বিবেচনাধীন। ভারতে চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ হওয়ার পর এবার সেই বিল পাশ করার দাবি জোরালো হচ্ছে।
বাণিজ্য ও উৎপাদন নীতির বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহকারী পিটার নাভারো ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ‘টুলসার জনসভায় লোক জড়ো করার জন্য যে চীনা অ্যাপ টিকটক ব্যবহার করা হয়েছিল, ফের সেটাই কি ব্যবহার করা হবে?’
এফবিআই-এর সাইবার বিভাগের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর ক্লাইড ওয়ালেস জানিয়েছেন, ‘গোটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে চীন। শুধু টিকটক অ্যাপই না, তথ্যভাণ্ডারে যাবতীয় তথ্য মজুত করে রাখা হচ্ছে। কেউ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকুক বা চীনে, চীনা সংস্থার মালিকানাধীন অ্যাপের মাধ্যমে সব তথ্য সংগ্রহ করে রাখা হচ্ছে। এটা মার্কিন সমাজের পক্ষে বিপজ্জনক।’
নি এম/
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com