চীন তার প্রভাবশালী শক্ত অবস্থান দেখাতে ভারতের সাথে সীমান্ত সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সীমান্ত সংঘর্ষের জেরে ভারত চীনের জনপ্রিয় ভিডিও অ্যাপ্লিকেশন টিকটক সহ ৫৯ টি অ্যাপসকে নিষিদ্ধ করে গত সপ্তাহে। সীমান্ত সংঘর্ষের চূড়ান্ত ফলাফল অনিশ্চিত হতে পারে তবে নয়াদিল্লির এই সিদ্ধান্ত চীনের জন্য ব্যাপক আঘাত৷ কেননা নিষেধাজ্ঞার কাঠামোটি যদি অন্য দেশগুলিরও অনুসরণ করতে পারে৷ তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পিছনে ফেলে বিশ্বের প্রভাবশালী প্রযুক্তিগত শক্তি হিসাবে বেইজিংয়ের এগিয়ে যাওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে ব্যার্থ করে দিবে।
শনিবার ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের চীনা কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞ রুশ দোশি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেন, "চীনা কোম্পানিগুলি ভারতে হেরে গেলে তারা সত্যই বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে পারবে না। ভারত যদি এটি নিষিদ্ধ করতে পারে তবে অন্যান্য দেশও তা করতে পারে। "
যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেও ফক্স নিউজকে বলেছিলেন, টিকটক এবং অন্যান্য চীনা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপস নিষিদ্ধ করার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র বিবেচনা করছে। অস্ট্রেলিয়াও টিকটক নিষেধাজ্ঞার কথা ভাবছে।
ভারতের চীনা অ্যাপস নিষিদ্ধ করার ক্ষতিটি কেবল ভারতের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। বৈদেশিক সম্পর্ক কাউন্সিলের চীনা প্রযুক্তি সংস্থার বিশেষজ্ঞ অ্যাডাম সেগাল বলেছেন, ভারতীয় নিষেধাজ্ঞার "ক্যাসকেডিং প্রভাব থাকতে পারে"।
ভারতের মত এখন অনেক দেশই চীনের বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। এছাড়া ভারতের মতই অনেক দেশ চীনের ফ্রি বেসিকস পরিকল্পনা বাতিল করেছিল।
এই বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে, ভারতে চীনের অ্যাপ্লিকেশন নিষেধাজ্ঞা যদি থেকে যায় তবে শি জিনপিংয়ের হিমালয়ের অ্যাডভেঞ্চারের ফলে তার দেশকে খুব বেশি মূল্য দিতে হবে।
জে এস/নি এম
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com