সুশান্ত মণ্ডল বলেন, ‘অর্পণ আমাদের জানায়, আগের জন্মে তার নাম ছিল রণজিত মণ্ডল। বাবা মৃত নগেণ মণ্ডল ও মা কদমবালা মণ্ডল। সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার বরদাল/নাড়ারাবাদ গ্রামে ছিল তাদের বাড়ি। আর্থিক অবস্থা ভাল না থাকায় পড়াশুনা করতে পারেনি। ছোটকাল থেকেই মাছের ব্যবসা করত। সাতক্ষীরা বামনডাঙা, নরেনাবাদ থেকে মাছ কিনে চাপড়া বাজারে মাছ বিক্রি করত। বিবাহিত জীবনে তার পুত্র সন্তানও হয়। ২০০৪ সালের শিবচতুর্দশী রাতে রাজেন, বিষ্ণু ও পরেশ নামে তিন ব্যক্তি তাকে জোরপূর্বক মোটর সাইকেলে তুলে জঙ্গলের ভেতর নিয়ে যায়। সেখানে তারা তাকে গলা কেটে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয়। তখন তাঁর বয়স ছিল প্রায় ৩০ বছর।’
সুশান্ত মণ্ডল আরো জানান, অর্পণের মুখে এসব কথা শোনার পর তিনি নিজে এবং তার বাবা বঙ্কিম মণ্ডল আশাশুনি থানায় যোগাযোগ করেন। থানায় রণজিত মণ্ডল নিরুদ্দেশ বলে একটি ডায়েরি দেখা যায়। এরপর খুঁজে পাওয়া যায় চন্দনা মণ্ডল ও তার ছেলেকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন অর্পণের পূর্বজন্মের মা কদমবালা দেবী (৬৫)। তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘অর্পণের আচার-আচরণ, কথাবার্তা ও চালচলনের মধ্যে আমি রণজিতের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাচ্ছি। আমি অর্পণকে আমার ছেলে হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছি।’
জানা যায়, অর্পণের কথিত পূর্বজন্মের স্ত্রী চন্দনা মণ্ডল বলেন, ‘২০০৪ সালের শিব চতুর্দশীর পূজার রাতে আমার স্বামী নিখোঁজ হয়। তারপর থেকে তার আর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।’ তিনি আরও বলেন,‘ আমি রণজিত মণ্ডলের আচার-আচরণ সবই ওই ছোট্ট শিশুটির শধ্যে দেখতে পাচ্ছি। আমাদের জীবনের বহু ব্যক্তিগত ঘটনা ও বলে দিচ্ছে। তাই ওকে আমার স্বামী না ভেবে পারা যায়নি।’
সরেজমিনে জানা যায়, ২০০৮ সালে আশাশুনি উপজেলার নাড়ারাবাদ গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী রণজিত মণ্ডল নিখোঁজ হয়েছিলেন। অদ্যাবধি তার কোন সন্ধান মেলেনি। ওই ঘটনায় তার স্ত্রী চন্দনা মণ্ডল বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে আশাশুনি থানায় মামলা করেছিলেন।
এদিকে এই ঘটনা প্রকাশ পাওয়ায় এই বিষ্ময় বালককে দেখতে শত শত মানুষের ভিড় লেগে যায় সুশান্ত মণ্ডলের বাড়িতে। বিগত ১৫ মে, ২০০৯ শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই বাড়িতে আসে শিশুটির আগের জন্মের বন্ধু রাজেন মণ্ডল। সব মানুষের ভিড়ে শিশুটি রাজেন মণ্ডলকে দেখে বিচলিত হয়ে ওঠে। সে সবার সামনে আঙুল তুলে দেখিয়ে বলে, এই সেই রাজেন যে আমাকে মেরেছিল। এই ঘটনায় রাজেন মণ্ডল তৎক্ষণাৎ পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু উপস্থিত জনতা তাকে ধরে ফেলে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
হিন্দু ধর্মের জন্মান্তরবাদ যে সত্য তার প্রমান
ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়য়ের head of the department , psychiatri , Dr Ian Stevenson তিনি সারা পৃথিবী ভ্রমণ করেছিলেন এবং জন্মান্তরবাদ সত্য নাকি মিথ্যা সেই নিয়ে গবেষণা করেছিলেন তিনি ৩০০০ এর ও অধিক ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন যাদের পূর্ব জন্মের কথা মনে আছে তিনি এই বিষয় গুলো তার বইতেও প্রমান করে গেছেন । এই ছাড়া অনলাইন ইউটিউবে পুনর্জন্ম বা ইংরেজিতে rebirth লিখে সার্চ দিলে হিন্দু ধর্মের পুন জন্মের অনেক সত্য ঘটনার প্রমান পাওয়া যায় । সব ধর্মের মানুষের মাজে এমন জাতিস্মরের প্রমান মিলেছে ।
নি এম/
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com