কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার সাবরাং এলাকায় পাশের বাড়ির চাচাতো ভাই ও তার স্ত্রীর ঝগড়া চলাকালীন সময়ে জিয়াউর রহমান (৩২) নামে এক ব্যক্তি ছুরিকাঘাতে আহত হয়। পরে সোমবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
নিহত জিয়াউর রহমান উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের খুরেরমুখ এলাকার বাসিন্দা ফরিদ আহমদের ছেলে। তিনি পেশায় একজন নৌকার মাঝি ছিলেন।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. আব্দুল হালিম নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নিহতের বড় চাচা হাসু মিয়ার ছেলে নাজির হোসেন প্রকাশ নজুর স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদ সৃষ্টি হয়।
এ খবর নজুর স্ত্রী সিকদারপাড়া বাবার বাড়িতে ফোন করে জানালে সেখান থেকে কয়েকজন নারী-পুরুষ দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এ সময় পাশের বাড়িতে ঝগড়া বিবাদ হচ্ছে শুনে দেখতে যান সাবরাং খুরেরমুখ এলাকার ফরিদ আহমদের ছেলে জিয়াউর রহমান।
ওই সময় শ্বশুর বাড়ির লোকজন ও নাজির হোসেন প্রকাশ নজুসহ তার বাবা হাসু মিয়াকে মারধর করেন। এর প্রতিবাদ করায় কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই সাবরাং ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ডের সিকদারপাড়া এলাকার অলি আহমদের ছেলে মোহাম্মদ ইসমাইল ধারালো ছুরিকাঘাত করেন জিয়াউর রহমানকে।
সাথে সাথে তিনি মাটিতে পড়ে যান এবং পালিয়ে যান ছুরিকাঘাতকারী ইসমাইল। পরে আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন জিয়াউর রহমানকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জিয়াউর রহমান।
এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে ।
সাবরাং ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সিদ্দিক আহমদ জানান, পাশের বাড়ি (চাচার বাড়িতে) ছেলে ও ছেলের বউয়ের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ দেখতে গিয়েই ছুরিকাঘাতে জিয়াউরের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদেহটি এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে টেকনাফ নিয়ে আসা হবে।
এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. আব্দুল হালিম জানান, নিহতের পরিবারের সাথে কথা হয়েছে। মৃতদেহটি নিয়ে আসার পর মামলা করা হবে। তবে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এইবেলাডটকম/মভশ
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com