ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ উপজেলাধীন মাসালডাঙ্গী ব্রীজে বাগদত্তা স্বামীকে বেঁধে রেখে অস্ত্রের মুখে স্ত্রীকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায় পীরগঞ্জ উপজেলাধীন মছলন্দপুর গ্রামের যতেন চন্দ্র রায়ের মেয়ে ফুটকিবাড়ী হাই স্কুলের ছাত্রী মায়া রানী রায় গত ১৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেলে বাগদত্তা স্বামী সবিন চন্দ্র রায়কে নিয়ে তার নাকের স্বর্ণের টিলা মেরামত করার উদ্দেশ্যে পীরগঞ্জ স্বর্ণকার দোকানে যায়। মেরামত শেষে অটোভ্যানে সন্ধ্যা ৭টার বাড়ি ফেরার পথে মাসালডাঙ্গী নেমে কাঁচা রাস্তা ধরে বাড়ির পথে আমবাগানের কাছে পৌছালে একই গ্রামের মৃত শামসুল হকের ছেলে মোহাম্মদ দক্ষিনা আলী(২২) ও অজ্ঞাত চারজন মায়া রানী রায় ও সবিন চন্দ্র রায়ের পথরোধ করে। কোন কিছু বোঝার আগেই সবিন চন্দ্র রায়কে জাপটাইয়া ধরে মুখে কাপড় গুজে দিয়ে আমগাছের সাথে বেঁধে রেখে দেন এবং মায়া রানী রায়কে গলায় ধরালো ছুরি ধরে আমবাগানের ভিতর দিয়ে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায়।
কিছুক্ষণ পর একই রাস্তা দিয়ে সুমন চন্দ্র রায় মোটরসাইকেল যোগে যাওয়ার পথে সবিন চন্দ্র রায়কে মোটরসাইকেল আলোয় দেখা পেয়ে সবিন চন্দ্র রায়কে উদ্ধার করে যতিন চন্দ্র রায়ের বাড়িতে পৌঁছায়া স্ববিস্তারে জানান এবং স্ববিস্তারে জেনে যতিন চন্দ্র রায়, মেয়ের দাদু অলিন চন্দ্র রায় ও পাড়া প্রতিবেশীদের নিয়ে রাত ১০টার দিকে মোঃ দক্ষিনার বাড়িতে গিয়ে মায়া রানীকে ফেরৎ চাইলে মোঃ দক্ষিনার মা সাইফুন নেহার অকর্থ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলেন মায়া রানীকে ধর্মান্তরিত করে আমার ছেলের সাথে বিয়ে দিবো তোমরা নিচিন্তায় বাড়ি যাও।
মেয়ের দাদু অনিল চন্দ্র রায় জানান, মায়া রানী স্কুলে যাওয়া আসার পথে উক্ত্যক্ত করতো মোহাম্মদ দক্ষিণা আলী। এই নিয়ে সালিশিও হয়। মুলত মোহাম্মদ দক্ষিণার অত্যাচারে মায়া রানীর বিয়ে ঠিক করা হয়েছিল কিন্তু তবুও অপহরণ করেই ছেরে দিল মোহাম্মদ দক্ষিণা আলী।
এই বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মাহাবুব আলমের কাছে গেলে তিনি তিন দিনের মধ্যে মায়া রানীকে উদ্ধার করে দেওয়ার আশ্বাস দিলেও তা অতিবাহিত হওয়ায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান।
নি এম/উত্তম
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com