সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ত্রাণের (ভিজিডি) চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাল বিতরণের দায়িত্বে থাকা ডিলাররা সঠিক ভাবে চাল বিতরণ না করে গোপনে অন্যত্র বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে পাচাঁরের সময় আটক হওয়া ৩০ কেজি ওজনের ৩ বস্তা চালের সমাধান হয়েছে বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী জানায়, সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় জেলার তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট বাজারে অবস্থিত চালের ডিলার জয়নাল আবেদীনের গোদাম থেকে মোল্লাপাড়া গ্রামের রিক্সাচালক আকিকুল মিয়া ৩০ কেজি ওজনের ৩বস্তা ত্রানের চাল রিক্সা দিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সময় বাদাঘাট জামের মসজিদের উত্তর দিকে পাকা সড়কের মাঝে আটক করে এলাকাবাসী। এই খবর পেয়ে দুপুর ১২টায় বাদাঘাট ফাঁড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ত্রাণের চালের বস্তাগুলো জব্দ করে। এঘটনার পর থেকে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। কারণ এঘটনার সপ্তাহখানে আগে কোনাটছড়া নামকস্থানে ডিলার মুহিত চৌধুরী কর্তৃক ৬বস্তা ত্রাণের চাল রাতের আধারে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার লোকজন বাধা দেয়। পরে পাচাঁরকৃত সেই চাল আবার ফেরত নেন ওই ডিলার। এবং সরকারের বিনা মূল্যের চাল নিয়ে এই ধরণের অনিয়ম সব সময়ই ঘটছে। কিন্তু এব্যাপারে জোড়ালো কোন পদক্ষেপ কখনোই নেওয়া হয়না বলে অভিযোগ রয়েছে।
এব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমিটি প্রচার সম্পাদক ঘরকাটি গ্রামের সেতারা মিয়া বলেন- গত ২বছর আগে ডিলার জয়নাল আবেদীনের ৩০বস্তা চাল আটক হয়। পরে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া হয়। তার আগে কোনাটছড়া গ্রামে একই ঘটনা ঘটে। অথচ সরকারের বিনামূল্যের চাল পাচাঁরের সময় আমরা এলাকাবাসীকে নিয়ে হাতেহাতে আটক করেছি।
এই অভিযোগের ব্যাপারে চালের ডিলার জয়নাল আবেদীন বলেন- রিক্সা দিয়ে কার্ডধারীদের কাছে চাল পাঠানোর সময় রিক্সা চালক তার নিজের চাল বলে দাবী করার কারণে এই সমস্যা হয়েছে। আর এই বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বসে সবাই মিলে সমাধান করেছি। তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্ম ভূষন বলেন- ৩বস্তা চাল আটকের ঘটনাটি ভুল বসত ঘটেছে তাই সমাধান করে দিয়েছি। চাল বিতরণে যদি কোন অনিয়ম হয় এবং আমার কাছে অভিযোগ আসে তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে সরকারের বিনামূল্যের চাল পাওয়ার জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও মেম্বারদেরকে ম্যানেজ করতে প্রতি ভিজিডি কার্ডের জন্য ২ থেকে ৩হাজার টাকা দিতে হয় বলে জানা গেছে। আর এই টাকা কার্ড করার জন্য বিভিন্ন ভাবে খরছ করা হয় বলে ভোক্তাভোগীদের জানান ইউনিয়ন পরিষদের মেম্মাররা। তাই এব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহযোগীতা কামনা করছেন তাহিরপুর উপজেলার অবহেলিত লক্ষলক্ষ দরিদ্র জনসাধারণ।
নি এম/মোজাম্মেল
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com