দেশের কোনো অঞ্চল অনুন্নত থাকবে না, করোনা না আসলে আরো এগিয়ে যেত দেশ- বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। 

বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হাওরের এ সড়কটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমার মনটা পড়ে থাকল। এ সড়ক দিয়ে গাড়িতে কবে যাব। রাষ্ট্রপতিও চান আমি যেন সরাসরি যাই। আমি যাব। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে এ সড়ক দেখতে যাব। ‘হাওরের বিস্ময়’ হিসেবে পরিচিত এই সড়কটি কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলাকে যুক্ত করে নির্মিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশুরা স্কুলে যেতে পারছেনা এটাই এখন সবচেয়ে বড় ক্ষতি; তারপরও ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রেখেছে সরকার। তিনি বলেন, হাওর এলাকায় কৃষিভিত্তিক শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে চায় সরকার। 

ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম। হাওরবেষ্টিত কিশোরগঞ্জের এই ৩ উপজেলার যোগাযোগের অন্যতম বাধা ছিল পানি। সময়ের পরিক্রমায় এই হাওরই এখন পর্যটনের নতুন সম্ভাবনা। 

এই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে আর সারা বছর এই ৩টি উপজেলার মধ্যে সড়ক পথে যোগাযোগ চালু রাখতে ৮৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৩০ কিলোমিটার এই সড়কটি নির্মাণ করেছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। 

সড়কটির উদ্বোধনী আয়োজনে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোন অঞ্চলই অনুন্নত থাকবে না। হাওরের ধান ও মাছ সংরক্ষনে সরকারের নানা পরিকল্পনার কথাও জানান শেখ হাসিনা। 

অষ্টগ্রামের বিখ্যাত পনির বিদেশে রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্প তৈরিতে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। 

করোনা না আসলে আরো এগিয়ে যেত দেশ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষতি এড়াতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রেখেছে সরকার।  

সরকারের নানা পরিকল্পনার ফলেই একদিন দেশ ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত হবে-এমন প্রত্যয় বঙ্গবন্ধু কন্যার। 

অনুষ্ঠানের শেষদিকে, সড়কটি নির্মানে রাষ্ট্রপতির ইচ্ছাকে স্বাগত জানিয়ে উদ্বোধন করেন ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম 'অলওয়েদার' সড়ক।

নি এম/