বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
বৃহঃস্পতিবার, ৫ই বৈশাখ ১৪৩১
সর্বশেষ
 
 
নেপালের ক্ষমতাসীন দলে ক্ষমতার লড়াই, নেপথ্যে চীনের প্রভাব
প্রকাশ: ১০:৫৩ pm ০৯-০৭-২০২০ হালনাগাদ: ১০:৫৩ pm ০৯-০৭-২০২০
 
এইবেলা ডেস্ক
 
 
 
 


নেপালের প্রধানমন্ত্রী খাদগা প্রসাদ ওলি নিজ দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের মধ্যেই কয়েক সপ্তাহের ভেতর পদচ্যুত হতে পারেন। ভারত নিয়ে কড়া অবস্থান এবং চীনের সঙ্গেও সখ্যতা বাড়ছে নেপালের। এতে দেশটির ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা গেছে। 

বুধবার (৮ জুলাই) এ নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে ই্য়াহু নিউজ। 

ওলির প্রতিদ্বন্দ্বী নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির নেতা পুষ্প কুমার দাহাল জানিয়েছেন, এবার তার ক্ষমতায় বসার সময় এসে গেছে। ওলিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে কী না এ বিষয়ে দলের বেশ কয়েকটি বৈঠক করা হবে। এরপরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর আগে গত সপ্তাহে ওলি জানিয়েছিলেন, তার দলের কয়েকজন নেতার সহায়তা নিয়ে তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে চেষ্টা করছে ভারত। এরপরেই দলের নেতাদের রোষের মুখে পড়েন ওলি।

এতদিন ধরে নেপালে ভারতের প্রভাবই ছিল বেশি। তবে সম্প্রতি সার্বিক পরিস্থিতি পাল্টে যায়। হিমালয়ান এ দেশটিতে চীনে প্রভাবে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। নেপালে এয়ারপোর্ট, হাইওয়ে, হাইড্রোপাওয়ার প্রজেক্টে বিনিয়োগ করেছে চীন। এই সপ্তাহেও নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেছে চীনের রাষ্ট্রদূত। নেপালের রাজনৈতিক নেতাদের সাথে সম্পর্ক জোরদার করতে কাজ করে যাচ্ছেন চীনের কূটনীতিকরা।

সম্প্রতি ভারতের তিনটি অঞ্চল নতুন মানচিত্রে অর্ন্তভুক্ত করে নিজ দলে বিতর্কিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পুরনো সিল্ক রোড রুট যেভাবে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে চীনকে যুক্ত করেছিল, সেভাবে নেপালকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে চীন।

নেপালের জনপ্রিয় দৈনিক নাগারিক-এর সম্পাদক গুরানাজ লুইটেল বলেন, নেপাল কৌশলগত ভৌগলিক অবস্থানে রয়ে গেছে। উভয় দেশই মনে করে যে, নেপালের রাজনীতিতে তাদের গুরুত্ব থাকতে হবে। বর্তমান সরকার চীনের প্রতি বেশি ঝোঁক দেখাচ্ছে। আর সে কারণে ক্রমশ ভারতের প্রভাব কমে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।

অন্যদিকে ২০১৭ সালে নেপালে কম্যুনিস্ট সরকার ক্ষমতায় এলে শঙ্কায় পড়ে যায় ভারত। 

নেপালের কম্যুনিস্ট পার্টির জাতীয় কমিটির সদস্য বিরোদ খাতিওয়াদা বলেছেন, নেপালে কম্যুনিস্ট পার্টি ক্ষমতায় দেখে ভারত সরকার ভেবেছে, নেপাল চীনের পরামর্শে চলছে। কিন্তু সেটা সঠিক নয়।

এর আগে ২০১৭ সালে পার্লামেন্টে কম্যুনিস্ট পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন ওলি। ওই সময় অনেকেই ভেবেছিলেন, ওলি এবং দাহাল পাঁচ বছর শাসনামল ভাগ করে নেবেন। কিন্তু ওলি আড়াই বছর পার করলেও সেই লক্ষণ দেখা যায়নি।

নি এম/

 
 
 
   
  Print  
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
আরও খবর

 
 
 

 

Editor & Publisher : Sukriti Mondal.

E-mail: eibelanews2022@gmail.com

a concern of Eibela Ltd.

Request Mobile Site

Copyright © 2024 Eibela.Com
Developed by: coder71