পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ময়দানদীঘি এলাকায় গত ৫ই আগস্ট জেমজুট লিমিটেডের শ্রমিক ঠিকাদারের দরপত্রের জের ধরে ঐ মিলের ঠিকাদার ও স্থানীয় ইউপি সদস্য অখিল চন্দ্র রায় ও তার বৃদ্ধ মা এবং বোনের উপর হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে একই জুট মিলের আরেক ঠিকাদার মোঃ ইউনুস আলী ও তার ছোট ভাই সেনাবাহিনীর সদস্য মোঃ জিয়াউল হকসহ প্রায় ৩০/৪০ জন।
এতে স্থানীয় মেম্বার ও ঠিকাদার অখিল চন্দ্র রায় ও তার বৃদ্ধ মা গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা এবং বোদা থানার পুলিশ তাদের উদ্ধার করে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ভর্তি করে দেয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতাল ভর্তি হয় অখিল চন্দ্র রায়।
এই ঘটনায় অখিল চন্দ্র রায় মোঃ ইউনুস আলী ও জিয়াউল হক ও রেজাউল হক তারা তিন ভাইসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জনের নামে বোদা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করলেও বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হায়দার মোঃ আশরাফুজ্জামান তাদের এজাহার ১০ আগস্ট কাউন্টার মামলা হিসেবে গ্রহণ করে,মামলা নং ৪/১২৩।
তার পূর্বে স্থানীয় মেম্বার অখিল চন্দ্র রায়সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেন ইউনুস আলীর ছোট ভাই জিয়াউল হক মামলা নং ৩/১২২।।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, জেমজুট মিলে অখিল চন্দ্র রায় দীর্ঘদিন ধরে ওই মিলে সুনামের সহিদ ব্যবসা করে আসছিলেন। এতে আরেক ঠিকাদার ইউনুস আলীর ভালোভাবে নেয়নি অখিল চন্দ্র রায়কে। বিধায় মিল থেকে বিতাড়িত করার জন্য অনেক কৌশল অবলম্বন করেও অখিল চন্দ্র রায়কে বিতাড়িত না করতে পারায় গত ৫ আগস্ট তারা অখিল চন্দ্র রায়কে জানান তিনি একাই ঠিকাদারি পেয়েছেন এই মর্মে অখিল চন্দ্র রায়কে মিলের ভিতরে প্রবেশে বাধা দিলে এক পর্যায়ে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।।
এই বিষয়ে জেমজুট মিলের জিএম অপারেশন আবুল বাশার বলেছেন ঘটনাটি অত্যান্ত, দুঃখজনক সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার চাই।
নি এম/