রবিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
রবিবার, ১৩ই মাঘ ১৪৩১
সর্বশেষ
 
 
পাকিস্তান হিন্দুদের জন্য মৃত্যুপুরী !
প্রকাশ: ১১:০২ pm ২৩-০৫-২০২০ হালনাগাদ: ১১:০২ pm ২৩-০৫-২০২০
 
এইবেলা ডেস্ক
 
 
 
 


বৈশ্বিক মহামারী করনাভাইরাসের কারণে গোটা বিশ্বের মানুষকেই যখন ঘরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, তখন পাকিস্তানে মানুষের ঘর ভেঙে দিয়ে তাদের শেষ সম্বল টুকু কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। মহামারীর সময়েও পাকিস্তান ধর্মের নামে ঘৃণ্য রাজনীতি করা বন্ধ করেনি। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রান্তের বহাবলপুর এলাকায় সংখ্যালঘু হিন্দুদের বস্তিতে বুলডোজার চালিয়ে পাকিস্তান আবারও প্রমাণ করে দিল যে, তাদের দেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং সংখ্যালঘুদের অধিকারের কোন গুরুত্ব নেই।

সবথেকে বড় অবাক করা কথা হল ইমরান খানের ক্যাবিনেট মন্ত্রী তারিক বশিরর নেতৃত্বেই এই সংখ্যালঘু হিন্দুদের শেষ সম্বল টুকু কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এমনকি দেশে সূচনা আধিকারিক শহ্রুখ খোখারও এই অভিযানে শামিল আছেন। যখন এই গরীব মানুষের বাড়ির উপর দিয়ে বুলডোজার চলছিল আর পুরুষ, মহিলা এবং বাচ্চারা নিজের শেষ সম্বল টুকু হারিয়ে যাওয়ার ফলে কান্নায় ভেসে পরেছিল, সেটির থেকে দুঃখজনক ব্যাপার এই মহামারীর মধ্যে আর কিছু নেই।

সম্প্রতি এরকম ঘটনা পাঞ্জাব প্রান্তের খানেবল জেলাতেও হয়েছে, সেখানে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর আর গেরোস্থানকে ইমরান খানে পার্টি তেহরিক-এ-ইনসাফ এর নেতা তছনছ করে দেয়। কমপক্ষে ২৫ টি হিন্দু পরিবারের বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৬ জন হিন্দু যুবক গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। অনেক গবাদি পশুর জীবন্ত আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়। মানবাধিকার লঙ্ঘন মামলায় পাকিস্তান আগাগোড়াই দোষী। সিন্ধ আর পাকিস্তানে অন্যান্য অংশে এরকম নানান ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে সংখ্যাগুরু মুসলিমরা জোর করে প্রতিনিয়ত হত্যা, গুম, ধর্ষণ, বাড়ি ঘর জায়গা জমি দখল, মন্দির ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, জোর করে ধর্মান্তরিত করাসহ হিন্দু-খ্রিস্টানদের নাবালিকা মেয়েদের তুলে নিয়ে ধর্ম পরিবর্তন করিয়ে বিয়ে করেছে।

পাকিস্তান প্রাক্তন এবং বর্তমান সরকাররা সব সময় দেশের সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু সংখ্যালঘুদের উপর বারবার হামলা সরকারের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায়।

ইসলামাবাদে ধার্মিক সংখ্যালঘুদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়। হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, জোর করে ইসলাম কবুল করানোর ঘটনা পাকিস্তানে এখন প্রতিদিনের ব্যাপার। পাকিস্তানে হিন্দু, শিখ, ইসাই, আহমেদিয়া মুসলিম এমনকি শিয়া মুসলিমরাও এই অত্যাচারের শিকার হয়ে চলেছে।

নি এম/

 
 
 
   
  Print  
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
আরও খবর

 
 
 

 

Editor & Publisher : Sukriti Mondal.

E-mail: eibelanews2022@gmail.com

a concern of Eibela Ltd.

Request Mobile Site

Copyright © 2025 Eibela.Com
Developed by: coder71