ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের কাছে বিক্ষোভ করার সময় হিন্দু সংহতি নামের এক সংগঠনের ৯৪ নেতাকর্মীকে আটক করেছে স্থানীয় পুলিশ।
কুমিল্লার একটি পূজামণ্ডপে মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআন শরিফ রাখাকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিনে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপে হামলা, মূর্তি ভাঙচুর এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এর প্রতিবাদেই আজ বুধবার, ২০ অক্টোবর, এ বিক্ষোভের আয়োজন করে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ছাত্রছাত্রী ফেডারেশন বা পিডিএসএফ এবং হিন্দু সংহতি নামের দুটি সংগঠন।
জানা যায়, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী এদিন দুপুরে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় হিন্দু সংহতি। এ জন্য সংগঠনটির দুটি মিছিল বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। একটি মিছিল শিয়ালদহ স্টেশনে এসে কলকাতার বেকবাগানে উপ-হাইকমিশনের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের ৪৩ জনকে আটক করে এবং কলকাতার পুলিশ হেডকোয়ার্টার লালবাজারে নিয়ে যায়।
অপরদিকে, বেকবাগান থেকে আরেকটি মিছিল বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন দপ্তরের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এ সময় বাধা দিলে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে চায় বিক্ষোভকারীরা। পরে সেখান থেকে ৫১ বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদেরকেও লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়।
তবে, পিডিএসএফ নামের সংগঠনটি বুধবার বিকেলে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিলেও পুলিশ তাদের বেকবাগান মোড়ে আটকে দেয়। পরে সেখানেই একটি পথনাটিকা মঞ্চস্থ করে পিডিএসএফ। যেখানে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের নানা খণ্ডচিত্র তুলে ধরা হয়।
এ ছাড়া বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনে গিয়ে একটি স্মারকলিপি দেয় পিডিএসএফের একটি প্রতিনিধি দল। স্মারকলিপিতে অবিলম্বে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধ করার দাবি জানানো হয়।
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com