প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বৈশ্বিক মন্দার মধ্যেও দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে আমরা সক্ষম হয়েছি। বিদেশে আমাদের সব দূতাবাসে বলে দিয়েছি এখনকার কূটনীতি রাজনৈতিক না অর্থনৈতিক হবে।
তিনি বলেছেন, প্রতিটা দূতাবাস ব্যবসা-বাণিজ্য, রপ্তানি, কোন দেশে কিসের চাহিদা, কী আমরা রপ্তানি করতে পারি বা কোথা থেকে আমরা বিনিয়োগ আনতে পারি; সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য বিদেশে আমাদের প্রতিটা দূতাবাসকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১ জানুয়ারি) রাজধানী ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচলের ৪ নম্বর সেক্টরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী এক্সিবিশন সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথাগুলো বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের রপ্তানিযোগ্য পণ্য খুবই সীমিত। কিছু পণ্যের ওপর আমরা খুব বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি। এটা বহুমুখী করার কথা। আমি বারবার এ কথা বলে যাচ্ছি। বহুমুখী করা এবং আমরা যত বেশি বাজার পাব তত বেশি আমরা পণ্য রপ্তানি করতে পারবো। বাণিজ্যে বসতি লক্ষ্মী—এ কথা আদিকাল থেকে শুনে আসছি। সেটাই আমাদের চিন্তা করতে হবে। আমাদের দেশের মানুষের কর্ম ক্ষমতা যাতে বাড়ে সেদিকেও দৃষ্টি দিতে হবে। আমরা আমাদের প্রায় প্রত্যেকটা মিশনে বাণিজ্যিক উইং খুলে দিয়েছি, যাতে করে আমাদের বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
প্রাথমিকভাবে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে চালু করা হবে ফাইভ জি নেটওয়ার্ক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করছি। এর মধ্যে অনেকগুলোর কাজ আমরা শুরু করে দিয়েছি। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে আমরা ৫জি চালু করবো। এটা সব জায়গায় দরকার নেই, এটা অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য প্রযোজ্য বা ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য প্রযোজ্য। সেভাবে আমরা পরিকল্পনা নিচ্ছি। সেবা খাতে বিশেষ করে আইটি ও আইটি এনাবল সার্ভিসের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরে ইন্ডাস্ট্রি না করতে ব্যবসায়ীদের নিষেধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরো বলেন, যদি কেউ বাইরে ইন্ডাস্ট্রি করে, তাহলে কোনো ধরনের সেবা দেওয়া হবে না তাদের।
তিনি বলেন, যেহেতু সারা বিশ্বব্যাপী চলছে খাদ্য মন্দা এবং পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, তাই আমি মনে করি বাংলাদেশের জন্য বড় একটা সুযোগ আছে। আপনারা খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্প গড়ে তোলেন। তাতে আমাদের দেশীয় উৎপাদকরা যেমন লাভবান হবে, তেমনি কর্মসংস্থান হবে, পাশাপাশি রপ্তানির জন্য নতুন পণ্য তৈরি হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক), বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, এফবিসিসিআই সভাপতি জসীম উদ্দিন এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান। অনুষ্ঠানে দেশের ব্যবসায়ী নেতা, রপ্তানিকারক, মেলায় অংশগ্রহণকারী দেশি-বিদেশি প্রতিনিধি এবং স্থানীয় জনসাধারণও উপস্থিত ছিলেন।
এইবেলাডটকম/মভশ
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com