চলতি বছরের গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা ২১৬ দিনের মতো চলছে দেশ দুইটির সংঘাত। এতে দুই পক্ষের বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে যুদ্ধ বন্ধে এখন পর্যন্ত কোনো লক্ষণ নেই। উল্টো পূর্ব ইউক্রেনে দেশ দুইটির মধ্যে সংঘাত আরও বেড়েছে।
কয়েকদিনের মধ্যে কিয়েভ দখল ও সেখানে পুতুল সরকার বসানোর প্রয়াস নিয়ে ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে যে আগ্রাসন শুরু করেছিলেন তা এখন পর্যন্ত অধরা। ইউক্রেনে বেশ কয়েকটি অঞ্চল দখল নিতে পারলেও সম্প্রতি ইউক্রেন বাহিনীর তীব্র পাল্টা আক্রমণে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে রুশ বাহিনী। এছাড়া ইউক্রেনে রাশিয়া যে তুমুল জনবল সংকটে ভুগছে তা ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বলে দাবি পশ্চিমাদের।
ইউক্রেন যুদ্ধে যোগদানের জন্য পুতিন সম্প্রতি আংশিক সেনা সমাবেশের নির্দেশ দিয়েছেন। এতে অন্তত দেশটিতে তিন রিজার্ভ সেনা জড়ো হবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। পুতিনের এমন ঘোষণার পর রাশিয়াজুড়ে অসন্তোস দেখা দিয়েছে। হাজার হাজার রুশ নাগরিকদের রাশিয়া ছাড়ার হিড়িক পড়েছে।
মঙ্গলবার সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধের বিপজ্জনক মোড় সন্নিকটে। চলতি সপ্তাহে ইউক্রেনের চার অঞ্চলে রুশপন্থী কর্তৃপক্ষ গণভোট শুরু করেছে। এসব অঞ্চল রাশিয়া তাদের দখলে নিতেই এই পন্থা অবলম্বন করেছে।
যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো রাশিয়ার এই গণভোটকে ভুয়া বলে দাবি করেছে। সেইসঙ্গে এটি আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী বলে জানিয়েছে। এর জবাব হিসেবে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে রাশিয়া বলছে তারা এসব অঞ্চলের বাসিন্দাদের মতামতকে সম্মান জানাবে। রুশ ভুখণ্ডের এসব অঞ্চল হলেই তারা যেকোনোভাবে তা রক্ষা করবে। প্রয়োজনে কৌশলগত সকল অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিয়েছে দেশটি।
মস্কোর এই হুঁশিয়ারি স্পষ্টভাবে পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। রাশিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছে, পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহারকে একটি বাস্তব সম্ভাবনা হিসেবে বিবেচনা করা হোক। অন্যদিকে পুতিনও বলেছেন, এটা কোনো ধাপ্পাবাজি নয়। তাই শিগগিরই ইউক্রেনে যুদ্ধের তীব্রতা আরও বাড়বে বলে আশংকা বিশেষজ্ঞদের।
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com