নড়াইলের লোহাগড়া গন্ধ বাড়িয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের সংখ্যালঘু পরিবারের মেয়েকে ধর্ষণ এর অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসী ও মেয়ের বাবা স্বপন বিশ্বাস বলেন, এলাকার দুইজন লম্পট দীর্ঘ দিন যাবত তার মেয়ের পেছনে লেগে থেকে তার মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে তাকে বিভিন্ন সময় ফোন করতো।
স্বপন বিশ্বাস আরও বলেন, তার মেয়ে একটি ছেলের সাথে ফোনে কথা বলতো পরে তার সাথে এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে, আমরা পারিবারিকভাবে সেটাকে মেনে না নিয়ে তার নামে লোহাগড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি।
এরপর থেকে (১)মো. তৌফিক আহমেদ ওরফে জিনিয়াস শেখ (৩৫) পিতা আ.হান্নান ওরফে হিরু মিয়া শেখ, (২) মো. ইমরান মিনা (৩০) পিং মৃত ইনজাহের মিনা সর্ব সাং মাইট কুমড়া থানা লোহাগড়া জেলা নড়াইল এই দুইজনে আমার মেয়েকে বলে তার সাবেক প্রেমিককে আনতে হলে তৈল পানি পড়া নিতে হবে বলে ফোনে জানায়।
মেয়েটির সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রথম ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে ৮ জুলাই বুধবার দুপুর অনুমানিক ২ টার সময় তাকে যেতে বলা হয় লোহাগড়ার মদিনা পাড়ায়। সে সময় জিনিয়াসের সঙ্গে করে তার ছোট ভাই রইচ এর বাসায় নিয়ে যায়।
রইচ এর বাসায় একটি নির্জন কক্ষে জিনিয়াস তাকে নিয়ে থাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ একাধিকবার ধর্ষণ করে। আমি চিৎকার করতে চাইলে তখন সে আমাকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেয়। এবং ধর্ষণ শেষে মেয়েটি চলে যায় তার বাড়ি এবং ধর্ষণের ঘটনাটি তার ভেতরে চেপে রাখে।
মেয়েটি আরও বলেন, এরপর ১২ জুলাই রোববার রাত আনুমানিক ৯ টার সময় মো. ইমরান মিনা তার মুঠোফোনে বলে যে জিনিয়াস এর সাথে হয়ে গেছে, এখন তুই মিতালী স্কুলের পেছনের রাস্তার আয় তৈল,পানি পড়া নিয়ে যা।
আমি তখন পাকা রাস্তার উপরে গেলে ইমরান মিনা ও তার সাথে থাকা দুই জন আমার মুখ চেপে ধরে আমাকে সুধীর ঠাকুরের বাগানে নিয়ে যাই এবং ইমরান আমাকে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে।
এরপরে আমি আত্মহত্যা করার জন্য রাস্তা দিয়ে গাড়ির দিকে এগোই ইমরান তখন আমার হাত ধরে শাহিদের বাড়িতে নিয়ে যায় ও শাহিদ কে বলে এই মেয়ে বাড়ি থেকে ঝামেলা করে আসছে ওর বাড়ি খবর দেও। শাহিদ আমার বাবাকে খবর দিলে আমাকে শাহিদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে।
আমি আমার পরিবারের সবাইকে সব ঘটনা খুলে বলি, তখন আমার বাবা এই আশ্রয় কেন্দ্রের ১৭ ব্যারাকের সভাপতি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানায়।
তারা তখন বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মীমাংসার আশ্বাস দেন। সেখানে ধর্ষকের অভিভাবক হাজির না থাকায় মীমাংসা হয় নাই।
বুধবার (১৫ জুলাই) সকালে আমি, আমার মা ও বাবা সহ আশ্রয়ন কেন্দ্রের সভাপতি মো. আবুল খায়ের মোল্লাকে নিয়ে জিনিয়াস (৩৫) ও ইমরান মিনা (৩০) এর নামে লোহাগড়া থানায় অফিসার ইনচার্জ বরাবর নিকট একটি লিখিত অভিযোগ করি।
এরপর মুঠোফোনে লোহাগড়া থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান সাথে কথা হলে তিনি জানান মামলা প্রক্রিয়াধীন।
নি এম/
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com