ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অগ্রসেনা, স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং বিপ্লবী শহীদ তারকেশ্বর সেনগুপ্ত' র শহীদ দিবস আজ।বরিশাল জেলার আগৈলঝারা উপজেলাধীন ঐতিহ্যবাহী গৈলা গ্রামে (কালুপাড়া মৌজা) সেনের বাড়ি ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। পিতা হরিচরণ সেনগুপ্ত। ১৯২৪খ্রি. গৈলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন। ১৯২৫খ্রি. শঙ্কর মঠের কর্মী হন। ১৯২৬খ্রি. বরিশাল ব্রজমোহন কলেজ থেকে আই.এ. পরীক্ষা দেন। বরিশালের গৈলা গ্রামে তারকেশ্বর সেন ও তাঁর সতীর্থরা মিলে ‘গৈলা সেবাশ্রম’(গৈলা শহীদ স্মৃতিসংঘ) গড়ে তোলেন, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক চেতনা ও বৈপ্লবিক ভাবধারা সঞ্চার করা। নৈশ বিদ্যালয় ও পাঠাগার স্থাপনসহ নানা কৃষ্টিমূলক কাজকর্মও তাঁরা পরিচালনা করতেন।
পরবর্তীকালে অসহযোগ আন্দোলন ও লবণ সত্যাগ্রহে অংশগ্রহণ করেন। গ্রেপ্তার হয়ে বিনাবিচারে আটক থাকেন। বিহারের হিজলি বন্দি-শিবিরে রাজবন্দিদের উপর গুলিবর্ষণকালে আহত হয়ে১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ সেপ্টেম্বর ২৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। তারকেশ্বরের সঙ্গে কলকাতার সন্তোষ মিত্রও রক্ষীদের গুলিতে মৃত্যুমুখে পতিত হন। যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত ও সুভাষচন্দ্র বসুর চেষ্টায় ও ব্যবস্থাপনায় উভয়ের শব স্পেশাল ট্রেনে করে কলকাতায় আনা হয়। হাওড়া স্টেশন থেকে মিছিল করে শব দুটি কেওড়াতলা শ্মশানে নিয়ে ভস্মীভূত করা হয়। অতঃপর তারকেশ্বরের চিতাভস্ম তাঁর জন্মভূমি গৈলা গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। দেশের মাটিতে চিতাভস্ম প্রোথিত করে তার উপর যে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয় তার শিলান্যাস করেন জননায়ক সুভাষচন্দ্র বসু।
দেশপ্রেমের উজ্জ্বল নক্ষত্র এই বীরসেনানীর পরম আদর্শে বর্তমান প্রজন্ম উদ্বুদ্ধ হোক। তাঁর আত্মবলিদানের ইতিহাস অবগত হোক শিক্ষার্থীরা। মহাকালের স্মৃতিপাতায় প্রোজ্জ্বল হয়ে থাকুক তিনি।এই মহান বিপ্লবীর পুণ্যস্নৃতির উদ্দেশে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।
নি এম/দিনেশ
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com