প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সাভারে ভাইয়ের কাছ থেকে ১৪ বছর বয়সী স্কুলছাত্রী নীলা রায়কে ছিনিয়ে নিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মিজানুরের বাবা ও সাভারের ব্যাংক কলোনী এলাকার আবদুর রহমান (৬০) ও মিজানুরের মা নাজমুন্নাহার সিদ্দিকা। হত্যা মামলায় আব্দুর রহমান দুই ও নাজমুন্নাহার তিন নম্বর আসামি।
বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে মানিকগঞ্জের চারীগ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হলো। তবে প্রধান আসামি মিজানুর রহমান এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।
আসামি মিজানুর রহমান চৌধুরীর (২০) বাবা ও মাকে দুই দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
শুক্রবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাইরুজ তাসনীম এই রিমান্ড আদেশ দেন।
এর আগে বিকালে আসামিদের আদালতে হাজির করে তাদের সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সাভার থানার এসআই নির্মল চন্দ্র ঘোষ।
অপরদিকে আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন খারিজ করে প্রত্যেকের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে র্যাব-৪ এর সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জমির উদ্দিন আহমেদ জানান, গ্রেপ্তারদের সাভার থানায় হস্তান্তর করা হবে। এছাড়া পলাতক প্রধান আসামি ও কিশোর গ্যাং লিডার মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
নীলার পরিবারের অভিযোগ, প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় নীলাকে হত্যা করেন মিজানুর রহমান। তিনি একই এলাকার ব্যবসায়ী আবদুর রহমানের ছেলে। স্থানীয় একটি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী তিনি।
গত রবিবার সন্ধ্যায় ভাইয়ের সঙ্গে রিকশায় করে হাসপাতালে যাওয়ার পথে নীলাকে ছিনিয়ে নিয়ে বখাটে মিজানুর রহমান ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। নীলা স্থানীয় অ্যাসেড স্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
এ ঘটনায় নীলার বাবা নারায়ণ রায় সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে সাভার মডেল থানায় চারজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলায় মিজানুর রহমান, তার বাবা আবদুর রহমান ও মা নাজমুন্নাহার সিদ্দিকাসহ অজ্ঞাতনামা আরো একজনকে আসামি করা হয়।
নি এম/
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com