অষ্টম শতকে ভারতভূমিতে উদ্ভুত, 'বিষয়-বৈরাগ্যবাদ, উত্তেজক পুষ্টিকর খাদ্য পরিহার ও কামনা-বাসনা ত্যাগ' - প্রভৃতি আধ্যাত্মিক তত্ত্ব ছিল সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ও আত্মঘাতী। পক্ষান্তরে তৎকালীন শক্তির মূল আধ্যাত্মিক তত্ত্বই হচ্ছে, 'ভূমি বৃদ্ধি ও জনসংখ্যা বৃদ্ধি'। বর্ণভেদ ও আত্ম-অভিমানের কারণে হিন্দুরা তুচ্ছ অজুহাতে সমাজ থেকে লোক তাড়িয়েছে, বাইরে থেকে লোক আনতে পারে নি। হিন্দুরা সমাজ থেকে যাদের তাড়িয়ে দিয়েছে অন্যেরা তাদের দলে ভিড়িয়ে শক্তিবৃদ্ধি করেছে।
সময়ের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ আধ্যাত্মিক মতাদর্শ সৃষ্টি করতে না পারার ফলে শতভাগ হিন্দু অধ্যুষিত ২৩ টি দেশ থেকে হিন্দুরা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে; বাকি আছে শুধু ভারত ও নেপাল। হিন্দুরা যদি সময়পযোগী আধ্যাত্মিক দর্শন প্রবর্তন করতে না পারে এবং হিন্দু-বিনাশী ধর্মনিরপেক্ষ কালাকানুন-সমূহ বিলোপ না করে তাহলে অদূর ভবিষ্যতে ভারত ও নেপালে হিন্দু খুঁজে পাওয়া মুশকিল হবে।
হিন্দুরা একে অপরকে দোষারোপ করতে ব্যস্ত। হিন্দুদের প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শত্রু হিন্দুই। একজন অন্যের বিপদ দেখলেও অযথা তারই সাথে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হয়। অথচ তাদের শত্রুরা কি ভয়ানক ছলনার জাল বিছিয়ে রেখেছে সাধারণ হিন্দুরা তা বুঝতে অপারগ। হিন্দুজাতি, এখনও সময় আছে - সচেতন হও এবং চরম বৈষম্যের নাগপাশ ছিন্ন করে অস্তিত্বের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হও; না হলে কিন্তু বিলুপ্তির পথে ধাবিত হওয়া অবধারিত।
নি এম/