শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১
সর্বশেষ
 
 
২ ঘণ্টায় পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে পৌঁছাবে চীনা বিমান, বিজ্ঞানীদের দাবি
প্রকাশ: ০২:৪৪ pm ০৪-১২-২০২০ হালনাগাদ: ০২:৪৪ pm ০৪-১২-২০২০
 
এইবেলা ডেস্ক
 
 
 
 


হাইপারসনিক বিমান তৈরি করছে অর্থবিত্তে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ চীন। তাদের এই বিমান প্রতি সেকেন্ডে ১২ কিলোমিটার গতিতে উড়তে সক্ষম। হাইপারসনিক বিমানটি চীন থেকে মার্কিন উপকূলে পৌঁছাতে সময় নেবে মাত্র ১৪ মিনিট। চালাতে পারবে পারমাণবিক বোমা হামলা।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে বলা হয়, বছর তিনেকের মধ্যে হাইপারসনিক এই বিমান আকাশে উড়বে।

হংকংভিত্তিক এই সংবাদপত্রে স্টিফেন চ্যানের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, শুধু যুক্তরাষ্ট্রে নয়, খুব অল্প সময়েই যুদ্ধবিমানটি বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে পারমাণবিক বোমা ফেলতে পারবে। বিমানের গতিবেগ শব্দের চেয়ে ৩৫ গুণ বেশি। বেইজিং টানেলে ট্রায়াল চলার সময়ে এই ইঞ্জিনের কার্যক্ষমতা রীতিমতো নজর কেড়েছে। জেট ইঞ্জিনটি টানেলের মধ্যে সর্বাধিক গতিতে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের কথায়, ফুয়েল এফিসিয়েন্সি হোক বা অপারেশনাল স্টেবিলিটি, প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই ইঞ্জিনের পারফরম্যান্স দুর্দান্ত।

চীনের Journal of Aeronautics-এ প্রকাশিত এক গবেষণা পত্রে এই ইঞ্জিন তৈরির সঙ্গে যুক্ত গবেষকরা জানিয়েছেন, রি-ইউজেবল ট্রান্স অ্যাটমোস্ফেরিক প্লেনে পরিষেবা দিতে পারে এই ইঞ্জিন। তারা এই হাইপারসোনিক জেট ইঞ্জিনের নাম দিয়েছেন সোড্রামজেট।

গবেষকরা জানিয়েছেন, এই ইঞ্জিনটি রানওয়ে থেকে ওঠানামা করা বিমানগুলোতেও ইনস্টল করা যেতে পারে। এরপর, পৃথিবীর একটি নির্দিষ্ট কক্ষপথ ধরে যাত্রা শুরু করে বিমানটি। এবং যথাসময়ে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে অবতরণ করে। এই বিজ্ঞানীদের নেতৃত্ব দিয়েছেন চীনের সায়েন্স অ্যাকাডেমি ইনস্টিটিউট অফ মেকানিকসের প্রফেসর জিয়াং জংলিন। 

তার কথায়, এই ইঞ্জিনে একটি হাইড্রোজেন ফুয়েল ইনজেক্টর সিংগল-স্টেজ এয়ার ইনলেট ও একটি কম্বাসসান চেম্বার রয়েছে। এ ক্ষেত্রে যখন দ্রুত গতির বাতাস এয়ার ইনলেটকে ধাক্কা দেয়, তখন একটি শক ওয়েভ তৈরি হয়। এবার কম্বাসটরের মধ্যে হাইড্রোজেন ফুয়েলের সংস্পর্শে আসে এই শক ওয়েভ বা তরঙ্গ। আর এর জেরে সামনের দিকে এগিয়ে চলে ইঞ্জিন।

ইঞ্জিন প্রস্তুতকারকদের দাবি, এই হাইপারসোনিক জেট ইঞ্জিন বিমানে লাগালে, শব্দের গতির চেয়ে ৩৬ গুণ দ্রুত যাবে বিমান। এ ক্ষেত্রে শব্দের গতি ১২৩৪.৮ কিমি/ঘণ্টা। চীনের কূটনীতিকদের একাংশের মতে, আরও বেশ কয়েকটি পরীক্ষায় সফল হলে ইঞ্জিনটিকে সামরিক বাহিনীতেও ব্যবহার করা যাবে।

নি এম/

 
 
 
   
  Print  
 
 
 
 
 
 
 
 
আরও খবর

 
 
 

 

Editor & Publisher : Sukriti Mondal.

E-mail: eibelanews2022@gmail.com

a concern of Eibela Ltd.

Request Mobile Site

Copyright © 2024 Eibela.Com
Developed by: coder71