eibela24.com
শুক্রবার, ১৯, এপ্রিল, ২০২৪
 

 
রাজশাহী সিটি চার্চে প্লেব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোরকে শেষ শ্রদ্ধা
আপডেট: ০৫:০০ pm ১৫-০৭-২০২০
 
 


বুধবার (১৫ জুলাই) ঘড়িতে সকাল ১০টা বেজে ৫ মিনিট। রাজশাহী সিটি চার্চে শেষ বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভক্তরা ফুল দিয়ে প্লেব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোরকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। মাইকে বাজছে তাঁর সব অমর গান। 

বুধবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘর থেকে তাঁর মরদেহ নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় রাজশাহী সিটি চার্চে নেওয়া হয়।

সেখানে ধর্মীয় আচার শেষে ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের শ্রদ্ধা নিবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়। চার্চ প্রাঙ্গণে সকাল পৌনে ১০টা থেকে শিল্পীর কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু করেন তাঁর ভক্তরা। তবে করোনাভাইরাসের কারণে সবকিছুই সীমিত পরিসরে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে করা হয়।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বেলা ১১টার দিকে এন্ড্রু কিশোরের মরদেহ নেওয়া হয় রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারসংলগ্ন খ্রিস্টানদের কবরস্থানে। সেখানে শিল্পীকে তাঁর পছন্দের স্থানে সমাহিত করা হবে।

প্রয়াত এন্ড্রু কিশোরের বড় বোনের স্বামী ডা. প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাস জানান, সবার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য এন্ড্রু কিশোরের মরদেহ নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী কলেজে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রস্তুতি না থাকা এবং করোনাভাইরাসের কারণে তা আর করা হচ্ছে না। সিটি চার্চে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কিছু সময় দেওয়া হচ্ছে। এরপর তাঁকে সমাহিত করা হবে।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে খ্রিস্টিয়ান কবরস্থানে শায়িত হবেন এন্ড্রু কিশোর। কবরস্থানে ঢুকেই বাঁ পাশের একটি স্থান তাঁর পছন্দ। জায়গাটি তিনি আগেই দেখিয়ে দিয়ে গেছেন। এই কবরস্থানেই সমাহিত হয়েছেন শিল্পীর বাবা ক্ষীতিশ চন্দ্র বাড়ৈ ও মা মিনু বাড়ৈ।

রাজশাহীতে জন্ম নেওয়া এন্ড্রু কিশোর প্রায় ১৫ হাজার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। তাঁকে বলা হয় ‘প্লেব্যাক সম্রাট’। আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া এই শিল্পী ক্যানসারে ভুগছিলেন। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে তিনি সিঙ্গাপুরেই ছিলেন চিকিৎসার জন্য। কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি চিকিৎসার পরও দ্বিতীয় দফায় তাঁর দেহে ক্যানসার বাসা বাঁধে। ফলে চিকিৎসকরা হাল ছেড়ে দেন।

তাই শিল্পীর ইচ্ছায় তাঁকে দেশে আনা হয় গত ১১ জুন। এরপর ২০ জুলাই থেকে রাজশাহীতে তিনি বোনের বাসায় ছিলেন। গত ৬ জুলাই সন্ধ্যায় এখানেই উপমহাদেশের এই কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

নি এম/