eibela24.com
শুক্রবার, ১৯, এপ্রিল, ২০২৪
 

 
ভবদহ সমস্যার সমাধান বিতর্ক
আপডেট: ১১:১২ pm ০৩-১০-২০২০
 
 


চঞ্চল রায়

"সঠিক উপায়  নির্বাচন  ও  রাজনৈতিক  সদিচ্ছা" হতে  পারে  ভবদহ  সমস্যার  নিরসন। সমাধানের উপায়ের  মত  তার বাস্তবায়নও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অর্থাৎ,  সমাধানের একটা পথ বললেই হবে না, যতক্ষণ তা বাস্তবায়ন যোগ্য না হবে।

যেমন, বাম দলগুলির অনেকের মতে, সমস্ত নদী, খাল,  বাঁধ,  ব্রিজ, কালভার্ট অবমুক্ত করে অনেকটা  পূর্বাবস্থায় ফিরে যেতে হবে। তা হলেই সমাধান। এমতাবস্থায়,  সাময়িকভাবে মানুষের ফসল ও ঘেরের মৎস্য চাষ বন্ধ হয়ে যাবে এবং অনেক বাড়ি ঘর ও স্থাপনা ডুবে যাবে। ফলে, এটি সঠিক হলেও  বাস্তবায়ন যোগ্য নয়।

আমডাঙ্গা বা বোয়ালমারী খাল পূর্ণ কোনো সমাধান নয়, সহযোগী মাত্র। অনেক আগে, কেজেডিআরপি প্লান করেছিলো যে, ভবদহ টু শলূয়া রেগুলেটর টু ষোলমারি রেগুলেটর ২৭ কিমি নদী পুন:খনন করলে সমাধান হবে। এখনো তা সম্ভব। কিন্তু ষোলমারির সে নদীও মরার পথে।

এলাকার সর্বাধিক প্রচলিত মতামত রয়েছে 
' টি আর এম' - এর দিকে।  এখানেও সমস্যা দেখা দিচ্ছে বিভিন্নভাবে:
১।  নদীতে পর্যাপ্ত পানি নেই। ফলে, শুধু  বিল কপালিয়া নয়, সঙ্গে সঙ্গে ১০ কিমি অন্তর ভাটিতে আরো ২/৩টি টি আর এম  করতে হবে। যার বাস্তবায়ন অনেক কঠিন।
২। পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে জনগন মনে করে টি আর এম করলে  সবাই ভর্তুকির টাকা পাবেনা।  এবং ৫ বছর বললে ৮ বছরের নিচেয়  ওরা ফিরে যাবে না।  আবার সমস্ত বিলে সুষমভাবে পলি পড়বে না বা পড়ানোর তেমন কোনো প্রক্রিয়া  সরকার করবে না।
৩। পাউবো  মনে করে যে, টি আর এম প্রশ্নে জনগণ দুই ভাগে বিভক্ত। একদল তাদের গাড়ি পুড়িয়ে দিবে বা আঘাত করবে।
সব  দিক বিবেচনা করে দেখা যাচ্ছে যে, পদ্ধতি যেটাই হোক, বাস্তবায়নই  বড় সমস্যা। সে দিক দিয়ে, অল্প আয়াশে পাম্প সেটই  অধিক বাস্তবায়ন যোগ্য। ৮০০ কোটি টাকায় ৮০০ না হোক ৭০০ বছর আমাদের ভবিষ্যত নিশ্চিত থাকবে। বর্ষার মধ্যে জুলাইতে ১ হাত, নভেম্বরে ২ হাত এবং জানুয়ারীতে বাদ বাকী ২/৩ হাত পানি সেচ দিলেই চলবে।  ফসল ও সৎস্য চাষ নিশ্চিত করতে ধাপে ধাপে পানি উপর্যুক্তভাবে সেচ দেয়া যেতে পারে।


নি এম/