অবশেষে গালওয়ান উপত্যকায় পিছু হঠল চীনা সেনা৷ একই সঙ্গে ভারতীয় বাহিনীও পিছু হঠেছে৷ কয়েকদিন আগেই দুই বাহিনীর মধ্যে কম্যান্ডার স্তরের বৈঠকে সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনে এই সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছিল৷
সেনা সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই দাবি করেছে, গালওয়ান নদী সংলগ্ন যে এলাকাগুলি থেকে দু'পক্ষ পিছিয়ে আসার বিষয়ে একমত হয়েছিল, সেখান থেকে চীনা সেনা তাদের তাঁবু, বাহিনী এবং যানবাহন সরিয়ে নিয়েছে৷ প্রায় ১ থেকে ২ কিলোমিটার পিছিয়ে গিয়েছে তারা৷ বৈঠকের শর্ত মেনে ভারতীয় সেনাও বেশ কিছুটা পিছিয়ে এসেছে বলে খবর৷
তবে গালওয়ান নদী উপত্যকার গভীরে কয়েকটি জায়গায় এখনও চীনা বাহিনীর সশস্ত্র যানবাহন রয়েছে৷ গোটা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে বলে ভারতীয় সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে৷
সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, যে এলাকাগুলি নিয়ে সবথেকে বেশি সংঘাত ছিল সেই প্যাট্রোলিং পয়েন্ট ১৪, ১৫, হটস্প্রিং এবং ফিঙ্গার এরিয়াতে চীনা সেনা পিছু হঠেছে৷ তবে সব জায়গায় সমানভাবে পিছু হঠেনি চীনা ফৌজ৷
মে মাসের শুরু থেকে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর একাধিক জায়গায় ভারত এবং চীনের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল৷ এর পরে গত ১৫ জুন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়ায় দুই দেশের বাহিনী৷ সেই ঘটনায় মৃত্যু হয় ২০ জন ভারতীয় সেনার৷ এর পরই সীমান্তে উত্তেজনা চরমে পৌঁছয়৷ সামরিক তৎপরতা বাড়ায় দু' পক্ষই৷ উত্তেজনা কমাতে সামরিক এবং কূটনৈতিক স্তরে আলোচনাও চলতে থাকে৷ দুই দেশের সেনার মধ্য কর্পস কম্যান্ডার স্তরের প্রথম দু' বারের বৈঠকেই পিছু হঠতে রাজি হলেও পরে নিজেদের আগের অবস্থানেই অনড় থাকে চীনা সেনা৷ শেষ পর্যন্ত তৃতীয় বৈঠকের পর অবশেষে পিছু হঠল চীনা বাহিনী৷
নি এম/
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com