দীর্ঘ অর্ধশত বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ব্যাংকের সামনে স্থাপিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ভাস্কর্য ‘জয় বাংলা’ বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল তিনটায় উদ্বোধন করা হবে। এ ভাস্কর্য দৃশ্যমান দেখে আনন্দিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। এরই প্রতিফলন ঘটিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন অনেকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী সোহরাব জাহান এই ভাস্কর্যটি নির্মান করেন।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিসহ অন্যান্য সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে প্রচারণা চালিয়েছে। প্রশাসনের কাছেও বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য স্থাপনের দাবি জানানো হয়।
সোহরাব জাহানের সঙ্গে ভাস্কর্যটি নির্মাণে সহযোগিতা করেন মুজাহিদুর রহমান মূসা ও জয়াশীষ আচার্য।
জানা যায়, ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ এর আন্দোলন-সংগ্রামে মাতৃভাষা ও মাতৃভূমি রক্ষার জন্য যারা নিজেদের প্রাণ বিলিয়ে দিয়েছেন, ইতিহাসের এসব দামাল শহীদদের স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘অপরাজেয় বাংলা’, ‘স্বাধীন বাংলা’, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সংশপ্তক’, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘স্ফুলিঙ্গ’, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘গুচ্ছ ভাস্কর্য ’৭১ এর গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি’সহ বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের বিভিন্ন স্পটে ভাস্কর্যের দেদীপ্যমান উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়। কিন্তু দেশের অন্যতম বৃহত্তম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চবিতে স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও জাতীয় কোনো স্মারক ছিল না। অবশেষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্মাণ করেছে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ভাস্কর্য 'জয় বাংলা'।
মূল বেদীসহ নির্মিতব্য ভাস্কর্যটির উচ্চতা ২০ ফুট, প্রস্থ ১৮ ফুট। এর মধ্যে উপরের স্তরে তিন মুক্তিযোদ্ধার উচ্চতা ১১ ফুট এবং নিচের স্তরে প্রতিটি মানব অবয়বের উচ্চতা সাড়ে ৫ থেকে ৬ ফুট। প্রকল্পটির নির্মাণে ব্যয় ২০ লাখ টাকা। এর মধ্যে চবির নিজস্ব তহবিল থেকে ১০ লাখ ও বাকি ১০ লাখ টাকা ব্যক্তি অনুদান।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় এটি উদ্বোধন করবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।
লাইভ কাস্টিং মেথডে তৈরি করা হয়েছে এ ভাস্কর্যটি। যা বাংলাদেশে প্রথম। ধূসর রঙের আস্তরণে মার্বেল ডাস্ট ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে রোদ বৃষ্টিতেও ভাস্কর্য মলিন হবে না। এই ভাস্কর্যের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে নারীদের প্রত্যক্ষ ও সমান অংশগ্রহণ বুঝানো হয়েছে।
নি এম/
![]() |
সম্পাদক : সুকৃতি কুমার মন্ডল খবর প্রেরণ করুন # info.eibela@gmail.com ফোন : +8801517-29 00 02 +8801711-98 15 52 a concern of Eibela Foundation |
|