এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফান্দাউক গ্রামের বিনয় আচার্য্যের ছেলে সুমন আচার্য্য করোনা আক্রান্ত হয়ে ঢাকার ডিএনসিসি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে মারা যান। রাত ২টার দিকে তার লাশ গ্রামের শ্মশানে নিয়ে আসেন সঙ্গে থাকা দুই স্বজন। তবে সৎকারের জন্য এলাকার লোকজন এগিয়ে না আসায় তাকে শ্বশুর বাড়ি এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয় এক বাসিন্দা সাংবাদিকদের বলেন, ‘মৃত্যুর পরই সুমনের স্বজনরা সৎকারের জন্য যোগাযোগ শুরু করেন। আচার্য্য সমাজের লোকজন এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসতে চাননি। যে কারণে দীর্ঘ সময় শ্মশানে লাশ পড়েছিল। উপায় না দেখে শ্রীমঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়।’
সুমন আচার্য্যের প্রতিবেশী ভূদেব আচার্য্য বলেন, ‘আমি অসুস্থ। সুমনের মৃত্যুর খবর পেয়ে সৎকারের জন্য যা যা প্রয়োজন হয় সেগুলো প্রস্তুতের ব্যবস্থা করি। এরই মধ্যে সৎকারে অংশ নিতে এলাকার লোকজনকে আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু করোনার ভয়, রাত বেশি হওয়ায় এবং বৃষ্টি থাকার কারণে লোকজন তেমন হয়নি। সুমনের শশুর বাড়ির লোকজনও চাচ্ছিলেন যেন তাদের ওইখানে নিয়ে যাওয়া হয়।’
ফান্দাউক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) মো. আলমগীর শাহ বলেন, ‘সুমনের সৎকারের বিষয়ে আমাদেরকে অবহিত করা হয়নি। তবে করোনার ভয়ে লোকজন না আসায় তাকে গ্রামের শ্মশাণে দাহ করা যায়নি।’
সুমনের নিকট আত্মীয় রনি আচার্য্য জানান, স্থানীয়ভাবে সাড়া না পাওয়ায় শ্রীমঙ্গলের সৎকার কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পৌর শ্মশানে সুমনের সৎকার সম্পন্ন করা হয়।
শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সৎকার কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ভানু লাল রায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘সুমন আচার্য্যের আত্মীয় বাবলু আচার্য্য রাতেই আমাকে বিষয়টি জানান। পরে সকালে তিনি আমার বাসায় গিয়ে জানান লাশ নিয়ে এসেছেন। সৎকার কমিটির সদস্যদের মাধ্যমে লাশের সৎকার করা হয়। সুমনের স্বজনেরা জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে নিজ এলাকায় তার সৎকারে লোকজন এগিয়ে না আসায় এখানে নিয়ে এসেছেন।’
নি এম/
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com