লাদাখ সীমান্ত নিয়ে ভারত-চীনের মধ্যে উত্তেজনা অব্যাহত। সীমান্তে চীনের আগ্রাসনের যোগ্য জবাব দিচ্ছে ভারত। তবে শুধু সীমান্তে নয়, চীন পণ্য বয়কটের হিড়িকে চাপে পড়েছে প্রতিবেশী দেশের ব্যবসা। তার মধ্যেই একের পর এক সামরিক শক্তি বাড়িয়ে চলেছে ভারত। এবার সেই তালিকায় নয়া সংযোজন ভারত-জাপানের প্রতিরক্ষা চুক্তি।চীনকে চাপে ফেলে এবার চুক্তি সেরে ফেলল ভারত আর জাপান। মনে করা হচ্ছে, এই চুক্তির ফলে চীন কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার আগে এবার দশবার ভাবতে বসবে। চুক্তি অনুযায়ী ভারত ও জাপান যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে একে অপরকে সামরিক সহায়তা দেবে।
গত বুধবার দু’দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা বাড়িয়ে তুলতে ঐতিহাসিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারত এবং জাপান। এর আগেও আমেরিকা, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর এবং অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ভারত এ ধরনের চুক্তি করেছে।
ভারতের হয়ে প্রতিরক্ষা সচিব অজয় কুমার এবং জাপানের রাষ্ট্রদূত সুজুকি সাতোশি এই মিউচুয়াল লজিস্টিক সাপোর্ট অ্যারেঞ্জমেন্ট (এমএলএসএ) এ স্বাক্ষর করেন। এর আগে ২০১৬ তে ভারত এবং আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল তার নাম ছিল জিস্টিক এক্সচেঞ্জ মেমোরেন্ডাম অফ এগ্রিমেন্ট (এলইএমওএ)। ১০ বছরের জন্য এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির ফলে ভারতীয় সেনা ও জাপানি সেনার মধ্যে সেনাসরঞ্জাম আদানপ্রদান ও একে ওপরের সামরিক পরিকাঠামো ব্যবহারের সুবিধা পাবে।
ভারত ও জাপানের মধ্যে এই প্রতিরক্ষা চুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। চুক্তির পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ফোনেও কথা বলেছেন।
মোদী এবং আবে উভয়ই প্রতিরক্ষা চুক্তির জন্য একে অপরকে ধন্যবাদ জানান। ভারত ও জাপানের এই চুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ, এই চুক্তির পরে ভারত ভারত মহাসাগরে কৌশলগত নেতৃত্বও নিতে পারে। ফলে বিপাকে পড়তে পারে চীন।
এই সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার ফলে উভয় দেশই উভয় দেশকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও নানান উপকরণ দিয়ে সাহায্য করবে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বা যুদ্ধকালীন সময়ে এ ধরনের সাহায্য খুব গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং আবে উভয়ই আশা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, এই চুক্তি উভয় দেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও গভীর করবে এবং ভারত মহাসাগর অঞ্চলে শান্তি ও সুরক্ষায় সহায়তা করবে।
নি এম/
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com