কুমিল্লা প্রতিনিধি : প্রতাত্তিক নিদর্শনের এক মহিমা-মন্ডিত নাম কুমিল্লার ময়নামতি বৌদ্ধ বিহার বা শালবন বিহার।
বাংলাদেশ একটি প্রত্নতাত্তিক নিদর্শনের অপরূপ মহিমা-মন্ডিত দেশ।সারা দেশে রয়েছে অসংখ্য প্রত্নতাত্তিক নিদর্শনের বাহারী সমাহার।
মাটি খুঁড়ে পাওয়া এসব প্রত্নতত্তিক ভ্রমন প্রিয়সীদের মনে দোলা দিয়ে যায়।ততকালীন রাজা-বাদশাহদের রেখে যাওয়া স্থাপত্যই আজ আমাদের পর্যটনের একটি বিরাট খাত হয়ে দাড়িয়েছে।
বাংলাদেশের প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন গুলোর মধ্যে অন্যতম কুমিল্লার বৌদ্ধ বিহার।পূর্বে এ প্রত্নতত্তিকটি শালবন "রাজার বাড়ি" নামে পরিচিত ছিলো।
প্রত্নতত্তিক খননে বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষ উম্মোচিত হওয়ায় একে "শালবন বিহার" নামে আখ্যায়িত করা হয়।এর আসল নাম ছিলো "ভবদেব মহাবিহার"।
খ্রিষ্টীয় সাত শতকের মধ্যভাগ হতে আট শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত দেব বংশের শাসকগন এই অঞ্চল শাসন করেন।উক্ত বংশের চতুর্থ রাজা ভবদেব কতৃক এই মহাবিহার নির্মিত হয়।
বর্গাকার বিহারটির প্রতিটি বাহুর দৈর্ঘ্য ৫৫০ ফুট। চার বাহুতে সর্বমোট ১১৫ টি সন্ন্যাস কক্ষ, মধ্যভাগে একটি উন্নত বৌদ্ধ মন্দির এবং মূল মন্দিরের চারপাশে ছোট ছোট ১২ টি মন্দির ও ৮ টি স্তুপ উম্মেচিত হয়েছে।
বিহারের মূল ফটকের পূর্বপাশে খননের ফলে একটি প্রাচীন কূপের কাঠামো উম্মেচিত হয়েছে।ধারনা করা হয় ততকালীন বৌদ্ধ শাসকগোষ্ঠী এ কূপের পানি আহরনের মাধ্যমে যাবতীয় প্রয়োজন পূরন করতেন।
মন্দির ও মন্দিরের আশে-পাশে কয়েক দফা প্রত্নতত্তিক খননের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পোড়ামাটির ফলক,ব্রোঞ্জের মূর্তি,নকশাকৃত ইট ও মুদ্রাসহ বিভিন্ন মূল্যবান প্রত্নতত্ত পাওয়া গিয়েছে।
"খননের মাধ্যমে যে বিপুল পরিমান প্রত্নতত্ত পাওয়া গিয়েছে তা পার্শবর্তী জাদুঘরে সঞ্চিত রয়েছে"।বিহারটির শ্রী বৃদ্ধিতে প্রত্নতাত্তিক বিভাগ গোলাপ,গাঁধা সহ দেশী-বিদেশী প্রজাতির ফুলের গাছ লাগিয়েছে।
এ সমস্ত ফুলের গাছে মুগ্ধ করে দর্শনার্থীদের।প্রতিদিন এই প্রত্নতাত্তিক নিদর্শনটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে হাজারো মানুষ ছুটে আসে।
ব্যস্থতার মাঝে ও একটুখানি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে ছুটে আসেন বৌদ্ধ বিহারটিতে।বিভিন্ন অকেশনে বিহারটিতে দেশী-বিদেশী দর্শনার্থীদের চাপে মুখরিত থাকে।
বিহারটির পাশে ই রয়েছে বিশাল এলাকাজুড়ে শালবন।একসময় এ বনটিতে প্রচুর পরিমান শাল-গজারি বৃক্ষ ছিলো।যা এখন অনেকটা ই কমে গেছে।গ্রামটির নামকরন করা হয়েছিলো শালবনপুর।
প্রচুর শাল ও গজারী বৃক্ষের জন্যই এই বিহারটির নাম করা হয়েছিলো শালবন বিহার।কিভাবে যাবেন কুমিল্লা বৌদ্ধ বিহারে ঢাকা থেকে বাসে আসলে নামতে হবে কোর্টবাড়ি চৌরাস্তায়।
সেখান থেকে সিএনজি বা অটোযোগে সোজা কুমিল্লা বৌদ্ধ বিহারে পৌছে যাবেন।সি,এন,জি/অটো ভাড়া জনপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে।
চাঁদপুর থেকে আসা দর্শনার্থীদের জন্য প্রথমেই যেতে হবে কুমিল্লা কান্দির পাড়।সেখান থেকে সি,এন,জি যোগে কোর্টবাড়ি চৌড়াস্তা।তা ও জনপ্রতি ভাড়া ২০ থেকে ৩০ টাকা।
সেখান থেকে নেমে ফুট ওভার ব্রিজ পার হয়ে সোজা বৌদ্ধ বিহারের অটো-সি,এন,জি যোগে বৌদ্ধ বিহারে।ভাড়া ২০ থেকে ৩০।যানবাহন অটো- সি,এন,জি।দর্শনার্থীদের জন্য বিহারটির প্রবেশ মূল্য সাইনবোর্ড আকারে টানানো আছে।
এইবেলাডটকম/রিফাত/এফএআর
![]() |
সম্পাদক : সুকৃতি কুমার মন্ডল খবর প্রেরণ করুন # info.eibela@gmail.com ফোন : +8801517-29 00 02 +8801711-98 15 52 a concern of Eibela Foundation |
|