তিস্তা নদীর ভাঙ্গন রোধে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য চীনসহ কয়েকটি দেশের সাথে আলোচনা চলছে। দ্রুত তিস্তা নদীর ভাঙ্গন রোধে বৃহত প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। নদ-নদী ভাঙ্গন রোধে ড্রেজিংসহ বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প চলমান রয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের বড় বড় নদ-নদীর ভাঙ্গন রোধে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।
এছাড়াও তিনি আরো বলেন,কুড়িগ্রাম-গাইবান্ধা ভাঙ্গন এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে স্থায়ী সমাধানে প্রকল্প নেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল। বিগত ১০বছর পূর্বে এই অবস্থা ছিল না। সরকারের অর্থনৈতিক সমস্যা নেই। রাতারাতি নদী ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব নয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে টেকনিক্যাল কমিটিসহ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে কাজ করতে সময় প্রয়োজন। তাই তিনি কুড়িগ্রামবাসিকে ধৈর্য্য ধরতে বলেন।
শুক্রবার বিকেলে বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে কুড়িগ্রামে ৫দফা বন্যায় জেলার ধরলা, ব্রহ্মপুত্র এবং তিস্তা নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়ের বন্যা কবলিতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। পরে তিনি মোগলবাসা, চিলমারী রমনা এবং উলিপুর উপজেলার অনন্তপুর,গুনাইগাছ টি বাঁধের ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,কুড়িগ্রাম-২আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ, কুড়িগ্রাম-১আসনের সংসদ সদস্য আসলাম সওদাগর, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক এমএ মতিন, অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল ইসলাম,বাপাউবো মহাপরিচালক এ.এম. আমিনুল হক, প্রধান প্রকৌশলী উত্তরাঞ্চল জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রংপুর পওর সার্কেল আব্দুস শহীদ,জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম, পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
নি এম/রতি
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com