ষাট দশকের অন্যতম কবি বেলাল চৌধুরীর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে সর্বস্তরের জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য একুশে পদকপ্রাপ্ত এই কবির মরদেহ শহীদ মিনারে নেওয়া হয়।
বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা শেষে ফেনীর শর্শদীতে পারিবারিক গোরস্থানে সমাহিত করা হবে বেলাল চৌধুরীকে।
মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘদিন ধরে কিডনি, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন এই কবি। মূত্রনালিতে ইনফেকশনের কারণে বেলাল চৌধুরী ‘সেফটিসেমিয়া’ রোগেও ভুগছিলেন।
১৯৩৮ সালের ১২ নভেম্বর ফেনী উপজেলার শর্শদি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বেলাল চৌধুরী। তার পিতা রফিকউদ্দিন আহমাদ চৌধুরী ও মা মুনীর আখতার খাতুন চৌধুরানী।
বেলাল চৌধুরী বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে আবির্ভূত একজন আধুনিক বাঙালি কবি। তিনি সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক এবং সম্পাদক হিসেবেও খ্যাতিমান।
তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের ‘নিষাদ প্রদেশে’, ‘আত্মপ্রতিকৃতি’, ‘স্থিরজীবন ও নিসর্গ’, ‘স্বপ্নবন্দী’, ‘সেলাই করা ছায়া’, ‘কবিতার কমলবনে’, ‘যাবজ্জীবন সশ্রম উল্লাসে’ ও ‘বত্রিশ নম্বর’ উল্লেখযোগ্য।
সাহিত্যক্ষেত্রে অবদানের জন্য তিনি ২০১৪ সালে একুশে পদক পান। এ ছাড়াও বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারও পেয়েছেন বেলাল চৌধুরী।
বেলাল চৌধুরী দীর্ঘদিন ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাস প্রকাশিত ‘ভারত বিচিত্রা’ পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
নি এম/
![]() |
সম্পাদক : সুকৃতি কুমার মন্ডল খবর প্রেরণ করুন # info.eibela@gmail.com ফোন : +8801517-29 00 02 +8801711-98 15 52 a concern of Eibela Foundation |
|