শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪
শনিবার, ২৩শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১
সর্বশেষ
 
 
কোভিড-১৯: স্কুল খোলার আগে নিজের সন্তানকে এই ৫টি তথ্য অবশ্যই জানাবেন
প্রকাশ: ১১:৩৮ pm ১৮-০৯-২০২০ হালনাগাদ: ১১:৩৮ pm ১৮-০৯-২০২০
 
এইবেলা ডেস্ক
 
 
 
 


কোভিড-১৯ মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করছে গোটা বিশ্ব। অর্থনীতি, কর্মসংস্থান বা অন্যান্য ক্ষেত্রের মতোই শিক্ষাক্ষেত্রও বড়োসড়ো সংকটের মুখে। অনলাইন ক্লাস চললেও সেটা নির্দিষ্ট একটা গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ। 

কিন্তু অভিভাবকদের মনে সন্তানের স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিয়ে সংশয় কাটছে না। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বয়স্ক এবং শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি। ফলে নিতান্তই যদি বাচ্চাকে স্কুলে পাঠাতে হয়, তা হলে ভাইরাসটি সম্পর্কে সংক্ষেপে হলেও তাকে সচেতন করতে হবে।

সন্তানকে জানানোর জন্য ৫টি প্রয়োজনীয় তথ্য

১. আমরা কতটা জানি?
ভাইরাসটি সম্পর্কে আমরা কতটা জানি, সেটাই সব থেকে বড়ো প্রশ্ন। চিকিৎসক, গবেষক, বিজ্ঞানীরা ভাইরাস সম্পর্কে জানার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

কিন্তু আমরা এই করোনাভাইরাসের প্রকৃতি সম্পর্কে অনেক কিছুই জানি না। তবে বাচ্চাকে অবশ্যই বলতে হবে- ভাইরাসটি বায়ুবাহিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণগুলি বুঝতে পারলেই আগাম সতর্কতা অবলম্বনে তারাও সচেতন হতে পারবে। তাদের পক্ষে যতটা সম্ভব, ততটা নিজের যত্ন নিতে পারবে।

২. করোনাভাইরাস অত্যন্ত সংক্রামক:
করোনাভাইরাস অত্যন্ত সংক্রামক। এ ধরনের দাবির পক্ষে পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে। তারা যদি ভাইরাসের প্রকৃতি বুঝতে পারে, তা হলে তারাও সাবধানতা অবলম্বন করতে এবং নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে আরও উৎসাহিত হবে।

৩. ভাইরাসটি একাধিক উপায়ে ছড়াতে পারে:
প্রাথমিকভাবে জানা যায়, কোনো সংক্রামিত ব্যক্তির থেকে হাঁচি এবং কাশি, থুতুর ফোঁটার সংস্পর্শে কোনো সুস্থ ব্যক্তি এলে ভাইরাসটি ছড়িয়ে সংক্রামিত করতে পারে। তবে, গবেষকরা তবে গবেষকরা এমনও দাবি করেন, আরও অনেকগুলি উপায় রয়েছে যার মাধ্যমে ভাইরাস ছড়িয়ে যেতে পারে এবং এমনকি দীর্ঘ সময় ধরে তলের উপরেও সক্রিয় থাকতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বাতাসে আসার পর কিছুক্ষণের জন্য এটি সক্রিয় থাকতে পারে।

৪. করোনায় যে কেউ আক্রান্ত হতে পারে:
কেউ নিজের পর্যান্ত যত্ন নিচ্ছে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাচ্ছে, তার মানে এই নয় যে তার ভাইরাসে ভয় নেই। বাচ্চাকে জানাতে হবে, সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে প্রত্যেকের। এমনকী এই রোগের এখনও পর্যন্ত কোনো কার্যকরী ভ্যাকসিন অথবা নির্দিষ্ট প্রতিকার আমাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি।

৫. কোভিডের উপসর্গ নাও থাকতে পারে:
শিশুরা প্রায়শই জ্বর, কাশি, সর্দি ইত্যাদির মতো নির্দিষ্ট উপসর্গগুলির সঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়ে। কিন্তু কোভিড-১৯ আক্রান্তের মধ্যে যে সবসময় উপসর্গ দেখা দেবে, তেমনটাও নয়। কোনো বন্ধুকে হয়তো কেউ দেখছে কোনো উপসর্গ নেই, কিন্তু সে-ও করোনায় আক্রান্ত হতে পারে অথবা সম্ভাব্য রোগের বাহক হতে পারে। তারা তাদের বন্ধুরা সুস্থ দেখতে পাচ্ছে এবং তাদের চারপাশে সতর্কতা অবলম্বন করতে পারে না তবে তারা সংক্রামিত হতে পারে এবং এই রোগের সম্ভাব্য বাহকও হতে পারে। এ ধরনের সম্ভাবনাগুলি নিয়েও বাচ্চাকে সচেতন করতে হবে।

সংক্রমণের হার, সক্রিয় রোগীর সংখ্যা, সুস্থতার হার ইত্যাদি কতটা বাড়ল অথবা কমল, সে সব জটিল পরিসংখ্যান শিশুদের বোঝানো কোনো মতেই সম্ভব নয়। কিন্তু ভয়াবহ এই সমস্যা সম্পর্কে তাদের ন্যূনতম শিক্ষিত করে তোলার মাধ্যমেই সুরক্ষিত রাখার কৌশল নিতে হবে।

নি এম/

 
 
 
   
  Print  
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
আরও খবর

 
 
 

 

Editor & Publisher : Sukriti Mondal.

E-mail: eibelanews2022@gmail.com

a concern of Eibela Ltd.

Request Mobile Site

Copyright © 2024 Eibela.Com
Developed by: coder71