ঢাকা : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি
চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে তার গুলশানের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা
করেছেন নিখোঁজ হয়ে যাওয়া বিএনপির যুগ্মমহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী ও
সন্তানরা। আজ মঙ্গলবার রাতে তারা দলীয় প্রধানের সাথে সাক্ষাৎ করেন। রাত
পৌনে ৮টার দিকে সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী ছোট ছেলে সৈয়দ ইউসুফ আহমেদ ও ছোট
মেয়ে ফারিবা আহমেদ রাইদা এবং নিজের ভাইয়ের স্ত্রী শামীম আরাকে নিয়ে একটি
গাড়িতে করে খালেদার কার্যালয়ের আসেন সালাহউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হাসিনা
আহমেদ। ফটকের সামনে পুলিশের বিশেষ শাখার সদস্যদের কাছে নিজেদের পরিচয় দিয়ে
বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ঢোকেন তারা। পুলিশের একজন সদস্য হাসিনা
আহমেদসহ ছেলে-মেয়েদের নাম ঠিকানা রেজিস্ট্রার খাতায় লিখে রাখেন।
কার্যালয়ে
ভেতরে গিয়ে দোতলায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে সালাহ উদ্দিনের পরিবার।
বিএনপি চেয়ারপারসন রাইদা ও ইউসুফকে বুকে টেনে নিয়ে সান্ত্বনা জানান। ওই
সময়ে খালেদার সঙ্গে ছিলেন তার ভাই শামীম এস্কান্দারের শ্বাশুড়ি। পরে দলের
স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, মহিলা
দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানাও সেই কক্ষে ঢোকেন। খালেদা জিয়ার সঙ্গে
দেখা করে রাত ৯টার দিকে বেরিয়ে আসেন সাবেক সংসদ সদস্য হাসিনা।
কার্যালয়
থেকে বেরিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন,
ম্যাডাম বাচ্চাদের আদর করেছেন, কথা-বার্তা বলেছেন। যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
আমার স্বামীকে তুলে নিয়ে গেছে, ম্যাডাম সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন, সে
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন অবিলম্বে তাকে আদালতের হাজির করে অথবা আমাদের কাছে
ফিরিয়ে দেয়।
প্রসঙ্গত সালাহউদ্দিন আহমেদের দুই ছেলে ও ২ মেয়ে। বড় ছেলে
সৈয়দ ইব্রাহিম আহমেদ কানাডা ও বড় মেয়ে পারমিজ আহমেদ ইকরা মালয়েশিয়াতে
অধ্যায়ন করছেন। ছোট ছেলে সৈয়দ ইউসুফ আহমেদ ও ছোট মেয়ে ফারিবা আহমেদ রাইদা।
সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৯১-১৯৯৬ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার
এপিএস ছিলেন সালাহউদ্দিন। পরে তিনি চাকরি ছেড়ে কক্সবাজারের সংসদ সদস্য হন
এবং প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
সালাহউদ্দিন আহমেদের পরিবারের দাবি, গত
১০ মার্চ রাতে উত্তরার একটি বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে সালাহউদ্দিনকে
তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে তার পরিবারের অভিযোগ। স্বামীর খোঁজ চেয়ে উচ্চ
আদালতে রিট আবেদনও করেছেন হাসিনা। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে
আদালতকে বলা হয়েছে, পুলিশ সালাহ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেনি। তার কোনো খোঁজও
পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে আগামী ৮ এপ্রিল হাইকোর্টে আবার শুনানির দিন ধার্য করা
হয়েছে।