জম্মু-কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলায় অজ্ঞাত গেরিলা হামালায় নিরাপত্তা বাহিনীর ৩ জওয়ান নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দু’জন আধা সামরিক বাহিনী সিআরপিএফ জওয়ান এবং একজন বিশেষ পুলিশ কর্মকর্তা বা এসপিও। ঘটনার পরে গোটা এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে।
সোমবার (১৭ অগাষ্ট) গেরিলারা একটি তল্লাশি চৌকিতে এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ করলে জওয়ানরা প্রাণ হারান। এনিয়ে গত এক সপ্তাহের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপরে তৃতীয় হামলা হল।
সিআরপিএফ জানিয়েছে, এ দিন সকাল থেকেই বারামুল্লার ক্রিরি সেক্টারে নওগাম বাইপাসের উপর ব্যারিকেড তৈরি করেছিল সিআরপিএফ এবং পুলিশের যৌথ বাহিনী। একের পর এক গাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। সে সময়ই অতর্কিতে নিরাপত্তারক্ষীদের উপর এলোপাতাড়ি গুলি চলতে শুরু করে জঙ্গিরা। পজিশন নেওয়ার আগেই দুই সিআরপিএফ জওয়ান এবং এক পুলিশ অফিসার গুলিবিদ্ধ হন। যৌথ বাহিনী পাল্টা আক্রমণ করার আগেই হামলাকারীরা গা ঢাকা দেয় বলে জানা গিয়েছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে, সেখানে সিসিটিভি ছিল। ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে একই সঙ্গে জানা গিয়েছে, চেকপোস্টের নিরাপত্তারক্ষীরা যথেষ্ট সতর্ক ছিলেন না। তারই সুযোগ নিয়েছে হামলাকারীরা। ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রচুর সেনা পাঠানো হয়েছে এলাকায়। গোটা অঞ্চল ঘিরে ফেলা হয়েছে। শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।
গত এক সপ্তাহের মধ্যে এই নিয়ে তৃতীয়বার কাশ্মীরে আক্রান্ত হলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। ১৪ অগাস্ট নওগামে দুই জন পুলিশ অফিসার নিহত হয়েছিলেন। গত ১২ আগস্ট বারামুল্লার সোপোরে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপরে হামলা হয়। এরফলে এক জওয়ান আহত হয়েছিলেন। পাল্টা হামলায় এক গেরিলাও নিহত হয়। এছাড়া ১ জুলাই সোপোর শহরে সিআরপিএফ বাহিনীর উপরে গেরিলা হামলায় এক জওয়ান নিহত ও ৩ জন আহত হন। এ সময় উভয়পক্ষের গুলিবর্ষণের মধ্যে পড়ে এক বেসামরিক ব্যক্তিও নিহত হন।
নি এম/
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com