রোববার শুরু হওয়া ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে এসেছিলেন বাংলাদেশের বরেণ্য শিল্পী নিসার হোসেন ও রণজিৎ দাসসহ আরও অনেকে।
ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রর পরিচালক জয়শ্রী কুন্ডু এদিন প্রদর্শনীটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। মোট ২৭টি চিত্রকর্ম আছে প্রদর্শনীতে। সবগুলো অ্যাক্রিলিক মাধ্যমে আঁকা।
চিত্রকর্মগুলোতে শিল্পী নানা দিক থেকে নানা মাত্রায় উন্মোচন করেছেন রং ও রেখার অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য। ছবিগুলোতে মিশে আছে শিল্পীর কল্পনা, সৌন্দর্যবোধ ও পরিশীলিত আবেগের ছন্দ। প্রদর্শনীর বিষয়বস্তুও খুব সহজ। অবয়ব আঁকার দিকে আগ্রহ লক্ষ্য করা গেল। আধা-বাস্তব রীতিতে কাজ করেছেন তিনি।
শিল্পের গভীরতা সন্ধানী শিল্পী মধুসূদন দাশ শিল্পকর্মগুলোর কোনোটিতে ফুটিয়ে তুলেছেন মানুষে মানুষে মমতা, আবার কোনোটিতে বিচ্ছন্নতাও। নারী মনের অতৃপ্ত বাসনা ও সৌন্দর্যবোধও তার ক্যানভাসে মূর্ত হয়েছে। মাতৃগর্ভে থাকা অনাগত শিশুর নিশ্চিত ঘুমও ফুটে উঠেছে তার ক্যানভাসে।
এছাড়া দৈনন্দিন জীবনের অস্থিরতা ও বিচ্ছিন্নতাবোধও তার কাজে লক্ষ্য করা যায়। ‘প্রকৃতি’ মধুসূদনের ক্যানভাসে ঘুরে ফিরে উপস্থিত হয়। তার ছবিতে আঁকা প্রকৃতি কখনো প্রস্ফুটিত, কোথাও কোথাও বিমূর্ত। কখনও সন্ধ্যা নেমেছে তার ক্যানভাসে, কখনো ভোরের আলো ফুটেছে।
১৯৭৩ সালে জন্ম নেওয়া এ শিল্পী জানালেন- প্রায় ৪০ বছর আগে যখন ছোট ছিলেন তখন তিনি এসেছিলেন এ দেশে। নিউইয়র্ক ও লন্ডনসহ পৃথিবীর অনেক শহরে আয়োজিত প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন তিনি। কিন্তু শৈশবের স্মৃতিজাগানিয়া এ শহরে একটি একক প্রদর্শনী তার কাছে একটা ‘স্বপ্নপূরণের’ মতো বিষয়। এখানে অনেক আবেগ জড়িয়ে আছে তার।
আন্তঃভারতীয় স্বর্ণপদক বিজয়ী মধুসূদন দাশ বিশ্বভারতী থেকে চিত্রকলায় স্নাতকোত্তর অর্জন করেছেন। প্রদর্শনীটি চলবে ১৪ জুন পর্যন্ত। জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তনের বাইরের লবিতে সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত দেখা যাবে প্রদর্শনীটি।
এইবেলাডটকম /আরডি
![]() |
সম্পাদক : সুকৃতি কুমার মন্ডল খবর প্রেরণ করুন # info.eibela@gmail.com ফোন : +8801517-29 00 02 +8801711-98 15 52 a concern of Eibela Foundation |
|