বেনাপোল রেল ষ্টেশনে কর্মরত মশিউর রহমান (টিএক্সআর, আন্তঃনগর) এর বিরুদ্ধে রেলের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সাথে দুর্ব্যবহার, অসদাচরণ ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
এক লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, বেনাপোল রেল ষ্টেশনে ওয়াশিং ক্লিনিং কাজের জন্য রেল কর্তৃপক্ষ প্রতিবছর ঠিকাদার নিয়োগ করেন। উক্ত ঠিকাদারদের কাজ তদারকি করেন টিএক্সআর কর্মকর্তা। বর্তমান যে ঠিকাদার কাজ করছে এর পুর্বের ঠিকাদার টিএক্সআর কর্মকর্তাকে প্রতিমাসে ৩০ হাজার টাকা দিতেন বলে সুত্র জানায় এবং ঠিকাদারের সকল মালামাল তার অধীনে রাখতেন। কিন্ত বর্তমান ঠিকাদার উক্ত টাকা দিতে অপরাগতা দেখালে শুরু হয় ওয়াশিং ক্লিনিং কাজ নিয়ে টাল-বাহানা।
কাজ ভাল হলেও তিনি রিপোর্ট দেন কাজ ভাল হচ্ছে না। সম্প্রতি কাজ করাকে কেন্দ্র করে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের বাপ-মা তুলে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন! এসময় পরিচ্ছন্ন কর্মীরা তাদের কাজ বন্ধ করে দেয়। পরবর্তিতে হেড টিএক্সআর মোঃ ফখরুল ইসলাম বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দেন।
সুত্র মতে আরো জানা যায়, ঠিকাদারের কাছে উৎকোচের টাকা না পেয়ে সম্প্রতি প্রধান সহকারি, ডিএমই/সিএন্ডডব্লিউ, পাকশী বরাবর টিএক্সআর মশিউর স্বাক্ষরিত একটি চিঠি পাঠান। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঠিকাদারের লোকজন ঠিকমত কাজ করেন না, ওয়াশিং ক্লিনিং কাজের প্রয়োজনীয় মালামাল সরবরাহ করেন না। এমনকি বেনাপোল এক্সপেস ট্রেনটি বেনাপোল থেকে নিয়ে খুলনায় ওয়াশিং ক্লিনিং করার প্রস্তাব দেন। বিষয়টি জানতে চাইলে হেড টিএক্সআর ফখরুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। সংখ্যালঘু পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সাথে অসদাচরণের বিষয়টির ব্যাপারে তিনি বলেন বিষয়টি আমি মিমাংসা করে দিয়েছি।
সুত্রমতে আরও জানা গেছে, টিএক্সআর আনোয়ার ৩ অক্টোবর হতে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত টিএক্সআর মশিউর ছুটিতে থাকায় তার দায়িত্ব পালন করেন এবং ঐদিন সন্ধ্যার পর দায়িত্ব মশিউরকে বুঝিয়ে দেন। ১০ অক্টোবর’২০ তারিখে বিকালে টিএক্সআর আনোয়ার তার ৮দিন কর্মকান্ডের বিস্তারিত রিপোর্ট/চিঠি উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষসহ ঠিকাদারকে অফিশিয়ালভাবে দেওয়ার জন্য মশিউরের কাছে হস্তান্তর করেন। কিন্ত মশিউর টিএক্সআর আনোয়ারের চিঠিটা হাতে পেয়ে সেটা নকল করে মনগড়া লিখে ঠিকাদোরের বিরুদ্ধে একটি চিঠি গত ১৪/০৯/২০২০ইং তারিখে প্রধান সহকারি, ডিএমই/সিএন্ডডব্লিউ, পাকশী বরাবর পাঠান। কিন্ত ভাগ্যক্রমে গত ১০/০৯/২০২০ইং তারিখের টিএক্সআর আনোয়ারের পাঠানো চিঠির কপি ঠিকাদার হাতে যায়। এই দুটি চিঠি নিয়ে ডিএমই অফিসে তোলপাড় চলছে। আসলে কোন চিঠিটা সঠিক তাই দেখভাল করার জন্য গত ২৩/০৯/২০২০ইং তারিখে সিএন্ডডব্লিউ অফিসের একজন প্রতিনিধি আসেন তদন্তে। টিএক্সআর মশিউরের লেখা চিঠির কোন সত্যতা পাননি বলে জানা গেছে।
এছাড়া মশিউর রহমান বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি খুলনায় নিয়ে ওয়াশিং করার যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন সরেজমিন ওয়াশিং কার্যক্রম দেখে মশিউরের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। কারণ বেনাপোল থেকে ট্রেনটি খুলনায় নিয়ে ওয়াশিং কাজ করাতে জ্বালানি তেল খরচ এবং সময় ক্ষাপন হবে। তাতে সরকারের ক্ষতিসাধন ছাড়া আর কিছুই না। এ ব্যাপারে টিএক্সআর মশিউরের মোবাইলে ফোন করলে তিনি রিসিভ করেন নাই।
নি এম/
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com