দুই পেঁয়াজে এক কেজি! আমাদের দেশি পেঁয়াজ নয়। প্রতিবেশী দেশ ভারতেরও নয়। এসব পেঁয়াজ এসেছে আরও দূর থেকে। পাকিস্তান, মিশর, চীন থেকে। খুচরায় প্রতিকেজি ২৫-৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
কোরবানির পর থেকেই বড় আকারের পেঁয়াজে সয়লাব হয়েছে চট্টগ্রামের বাজার। সঙ্গে আছে ভারতের নাসিক আর দেশি পেঁয়াজও। স্বাভাবিকভাবেই বেঢপ আকার ও কম সুন্দরী পেঁয়াজগুলোর চাহিদা কম। গৃহস্থালি পর্যায়ে চাহিদা নেই বললেই চলে। অনেকে খাবার হোটেল, মেজবান, বিয়েশাদির জন্যই কিনছেন বড় পেঁয়াজগুলো।
হেমসেন লেনের মুখে রিকশাভ্যানে ‘বড় পেঁয়াজ’ বিক্রি করছিলেন চাঁদপুর থেকে আসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. লিটন। বললেন, মঙ্গলবার খাতুনগঞ্জের আড়ত থেকে ১৫ টাকা দরে এসব পেঁয়াজ কিনেছি। বিক্রি করছি ২৮-৩০ টাকা। বেশি কিনলে কম দামে ছেড়ে দিচ্ছি। আবার কিছু পঁচা পেঁয়াজ বাছাই করে আলাদা করে রেখেছি। সেগুলো ১২-১৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
লিটন জানান, ভারতের নাসিক পেঁয়াজ কিংবা দেশি পেঁয়াজ ভ্যানগাড়িতে বিক্রি করলে লাভ করা যায় না। দাম বেশি, মানুষ কিনতে চায় না। অনেক সময় লোকসানও হয়।
গৃহিণী পুষ্পা বড়ুয়া দরকষাকষি করছিলেন মো. লিটনের সঙ্গে। পুষ্পা বললেন, পেঁয়াজ ছাড়া কোনো তরকারিই স্বাদ হয় না। ডিম ভাজি, নুডলসেও পেঁয়াজ চাই প্রতিদিন। প্রচুর পেঁয়াজ কিনতে হয় আমাদের। ভারত থেকে আমদানি করা এবং দেশি ভালোমানের পেঁয়াজের অনেক দাম। সে তুলনায় অনেক সস্তা বড় পেঁয়াজ। ঝাঁজও প্রায় একই। তবে দেখতে সুন্দর নয়। সাইজটাও বহুরূপী।
খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের বড় বিপণিকেন্দ্র হামিদ উল্লাহ মার্কেট। মার্কেটের আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বাংলানিউজকে বলেন, কোরবানির আগে পেঁয়াজের দামের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখে চীন, মিশর ও পাকিস্তান থেকে অনেকে পেঁয়াজ আমদানির এলসি খুলেছিলেন। সেই পেঁয়াজ এসেছে। পাকিস্তানি পেঁয়াজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। পাইকারিতে বিক্রি হয়েছিল ১০-১২ টাকা। এখন চীনা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৭-১৮ টাকা। মিশরের পেঁয়াজ ২৩-২৫ টাকা।
তিনি জানান, তিন দেশের পেঁয়াজই বড় আকৃতির। দুইটিতে এক কেজি। আবার ৫-৭টিতেও এক কেজি। বড় পেঁয়াজের চাহিদা পরিবার পর্যায়ে নেই বললেই চলে। যারা এসব পেঁয়াজ আমদানি করেছেন তাদের অনেকেই পুঁজি হারিয়ে ফেলেছেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ভারতের নাসিক পেঁয়াজ ৩৪ টাকা পাইকারিতে। দেশি পেঁয়াজ ৪০ টাকা, সবচেয়ে দামি। তবে ভারতের রং, ঝাঁজ ও আকারের কারণে পেঁয়াজই বেশি পছন্দ চট্টগ্রামের গৃহিণীদের।
আরডি/
![]() |
সম্পাদক : সুকৃতি কুমার মন্ডল খবর প্রেরণ করুন # info.eibela@gmail.com ফোন : +8801517-29 00 02 +8801711-98 15 52 a concern of Eibela Foundation |
|