হিরে মানেই একরাশ মুগ্ধতা। ছোট-বড় যেমনই হোক না কেন হিরের চমকে মন খুশি হয় না এমন মানুষ বিরল। আর হিরে যদি হয় দুষ্প্রাপ্য, তাহলে তার কদর কয়েক গুণ বেড়ে যায়। যেমন এই মুহূর্তে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে গোলাপি রঙা ১৯ ক্যারেট ওজনের গোলাপি হিরে ‘দ্য পিঙ্ক লেগাসি’।
জেনেভার ঐতিহাসিক জিনিসপত্রের নিলামঘর ক্রিস্টিসে মঙ্গলবার হই হই করে এই হিরের নিলাম হয়েছে। কাঁচের টেবিলের উপর সাজানো গোলাপি হিরে মন জয় করেছে সকলের। নিলামঘরে উপস্থিত এক ব্যক্তির কথায়, নিখুঁত চৌকো আকারে কাটা পাথরটি থেকে যেন হাজার দ্যুতি ঠিকরে বেরোচ্ছিল। অভিজাত এই হিরে কার ঝুলিতে যাবে, সেটা নিয়েও কৌতুহল কিছু কম ছিল না। সকলেরই পাখির চোখ ছিল ‘দ্য পিঙ্ক লেগাসি’।
শেষমেশ সমবেত জনতার চোখের সামনে থেকে হিরে ঝোলায় পুড়ল আমেরিকার গয়না বিপণনি সংস্থা হ্যারি উইনস্টন। দাম উঠল ৫০ মিলিয়ন ডলার।
ক্রিস্টিসের চেয়ারম্যান ও রত্নবিশেষজ্ঞ ফ্রাঙ্কোসিস কুরিয়েল জানিয়েছেন, প্রতিযোগিতা ছিল তুঙ্গে। ১১টিরও বেশি সংস্থা এক মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত দাম তুলেছিল। তবে হ্যারি উইনস্টনের হাঁকা ৫০ মিলিয়ন ডলার দাম সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। তাঁর কথায়, এর আগে এত দামি ও ঐতিহ্যময় রত্ন নিলামে ওঠেনি।
গোলাপি হিরেটি দক্ষিণ আফ্রিকার কোনও এক আকরিকের খনি থেকে প্রায় একশো বছর আগে পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেন জেনেবার রত্নবিশেষজ্ঞ জিন মার্ক লুনেল। তিনি জানিয়েছেন, এটিই আপাতত পৃথিবীর সেরা হীরকখণ্ড। ১৯২০ সাল নাগাদ এই হীরকখণ্ডটিকে কেটে ১৯ ক্যারেটের ওজন দেওয়া হয়। সূএ: দি ওয়াল
নি এম/
![]() |
সম্পাদক : সুকৃতি কুমার মন্ডল খবর প্রেরণ করুন # info.eibela@gmail.com ফোন : +8801517-29 00 02 +8801711-98 15 52 a concern of Eibela Foundation |
|