করোনার ঝুঁকি কমাতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার কোনও বিকল্প নেই। তাই এ সময় বাইরে বের হলে যেমন সুরক্ষিত থাকা প্রয়োজন তেমনি ঘরের জিনিসও পরিষ্কার রাখা জরুরি। বিশেষ করে যাদের ঘরে শিশু ও বয়স্ক মানুষ রয়েছেন। তাই ঘরে যাতে করোনা ভাইরাস প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য এই সতর্কতাগুলি মেনে চলুন। যেমন…
স্মার্টফোন
দৈনন্দিন জীবন এখন স্মার্টফোন ছাড়া চিন্তাই করা যায় না। ঘুম থেকে উঠা থেকে শুরু করে ঘুমোতে যাওয়া পর্যন্ত সব সময়ই সবার নজর থাকে স্মার্টফোনে। এ কারণে নিজের মোবাইল ফোনটিও পরিষ্কার রাখা জরুরি। বাইরে বের হলে বাড়িতে ফিরে ভালো করে স্মার্টফোনটি পরিষ্কার করে নিন। এজন্য স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে পারেন। তবে ফোন পরিষ্কারের পর হাত অবশ্যই ভালো করে ধুয়ে নেবেন।
টিভির রিমোট
বাড়ির সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সামগ্রীর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে টিভির রিমোট। তাই যতটা সম্ভব রিমোট পরিষ্কার করে নিন। পারলে ব্যবহারের আগে এবং পরে ওয়েট টিস্যু দিয়ে মুছে নিন।
কলিং বেলের সুইচ
বাড়িতে ফিরেই সবাই কলিং বেলের সুইচে হাত দিচ্ছেন। এর ফলে সরাসরি জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে অনেকটাই। তাই বেল বাজানোর পরে ভালো করে তা জীবাণুমুক্ত করুন।
এসি
যতটা পারবেন ঘরের এসি কম ব্যবহার করুন। দরজা-জানলা খোলা রাখুন। ঘরে আলো-বাতাস খেলতে দিন। ঘর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বদ্ধ ঘরে এসি চললে করোনার ভয় থেকেই যায়। তাই এসি চালালেও দরজা বা জানলা কিছুটা ফাঁক রাখুন।
মেকআপের ব্রাশ
লকডাউনের পর অনেকেই বাড়ির বাইরে বের হলে মেকআপ ব্যবহার করতে চাইবেন। অনেকেই হয়তো জানেন না, মেক আপ ব্রাশের মাধ্যমেও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে। এই পরিস্থিতিতে তাই মেক আপ ব্রাশের পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিতে হবে। সপ্তাহে কমপক্ষে একবার মেক আপ ব্রাশ পরিষ্কার করুন।
রান্নাঘর
এই সময় রান্নাঘর জীবাণুমুক্ত খুবই জরুরি। বিশেষ করে বেসিন পরিচ্ছন্ন থাকছে কিনা তা খেয়াল রাখুন। এছাড়া থালাবাসন মাজার স্পঞ্জও পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। মনে রাখবেন পরিস্কার পরিচ্ছন্নতাই একমাত্র উপায় করোনাকে দূরে রাখার।
নি এম/
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com