পদ্মার চরে জিহাদী গ্রুপের ট্রেনিং
প্রকাশ: ০২:০৬ am ২৬-০৬-২০১৫ হালনাগাদ: ০২:০৬ am ২৬-০৬-২০১৫
ষ্টাফ রিপোর্টার :
পদ্মার চরে ও দেশের উত্তরবঙ্গের যেখানে জনসমাগম কম, বিস্ফোরণের শব্দ হলেও কেউ শুনতে পাবে না এবং নির্জন স্থানে নতুন সশস্ত্র সংগঠন ‘বাংলাদেশ জিহাদী গ্রুপে’র সদস্যরা প্রশিক্ষণ নিত। তাদের প্র্রশিক্ষণের জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বরখাস্ত সদস্যদের অর্থের বিনিময়ে রাখা হয়েছিল।
রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের (ডিবি) যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম এমন দাবি করেন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে ডিবি (দক্ষিণ) ‘বাংলাদেশ জিহাদী গ্রুপ’এর কমান্ডার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ওরফে মিলন ওরফে মিলু ওরফে আব্দুল্লাহ ওরফে অনিক ও অর্থদাতা ফিরোজ ওরফে মোহাম্মদ তমালকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে তিনটি বিদেশী পিস্তল, ১৫ রাউন্ড গুলি, এক কেজি বিস্ফোরণ ও দুটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একাধিক মামলা করা হয়েছে। ওই দুজনকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য বের হয়ে এসেছে বলে দাবি করেন তিনি।
মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যে সকল বরখাস্ত সদস্যদের নাম এসেছে তাদের চিহ্নিত করে যাচাই-বাছাই চলছে। তিনি আরও বলেন, সংগঠনের অর্থদাতা তমাল একজন সরকারি কর্মকর্তার ছেলে। রাজধানীতে তাদের ১৭টি ফ্ল্যাট-বাড়ি রয়েছে। অস্ত্র বিস্ফোরকসহ সকল টাকা সে যোগান দিত।
ডিবির যুগ্ম-কমিশনার বলেন, গত ৭ জুন ব্যাংক ডাকাতির প্রস্তুতিকালে বনশ্রী এলাকা থেকে ছয়জন এবং সূত্রাপুর এলাকা থেকে আধ্যাত্মিক নেতা নুরুল্লাহ কাসেমীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তিতে জিহাদীদের কাছে বিস্ফোরক বিক্রির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিনজন ব্যবসায়ীসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ল্যাব সহকারীকে ১৮ জুন গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার নতুন সংগঠনটির কমান্ডার আব্দুল্লাহ ও অর্থদাতা তমালকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয় বলে জানান যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
এদিকে, পদ্মার চর এলাকায় এ ধরণের প্রশিক্ষণের তথ্যে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। এ ব্যাপারে ঐ এলাকা সমূহে নানা তৎপরতা শুরু করেছে। স্থানীয়দের কারা কারা ঐসব প্রশিক্ষণে অংশ নিত তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এইবেলা ডট কম/এইচ আর