স্বাধীন বাংলাদেশ গড়তে প্রাণ দিয়েছেন লক্ষ লক্ষ বাঙালি। পাকিস্তানের হাতে কম অত্যাচার সইতে হয়নি খোদ ‘বঙ্গবন্ধু’ মুজিবর রহমানকে। সেই উত্তাল সময়ে পাক সেনাশাসকদের অমানবিক অত্যাচারের কথা জেলে বসে খাতায় লিখে গিয়েছেন মুজিব। সেই খাতার কথা বলতে গিয়ে এবার আবেগে কেঁদে ফেললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে শেখ হাসিনা বলেন, “বঙ্গবন্ধু কারাগারে কতটা যন্ত্রণায় থাকতেন, তা বাইরে বলতেন না। আমি যা জানতে পেরেছি, তা তাঁর লেখা থেকেই। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধকালে তাঁদের বাড়ি আক্রমণই করেই ক্ষান্ত থাকেনি দখলদার পাকিস্তানি সেনারা, দীর্ঘ নয় মাস ধরে লুটপাটও চালিয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর সবকিছু লুট হয়ে যায়। কিন্তু কারাগারের বঙ্গবন্ধুর নরক যন্ত্রণার বিবরণ লেখা খাতাগুলো কেউ নেয়নি। মনে হয় তাদের পছন্দ হয়নি।”
জাতীয় পার্টির সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর ‘কারাগারের রোজনামচা’ মূলত ১৯৬৬ সাল থেকে ৬৮ সাল পর্যন্ত লেখা। একাত্তর সাল থেকে আমরা তাঁর কোনও লেখা পাইনি। কারণ একাত্তর সালে বঙ্গবন্ধু কারাগারে (পাকিস্তানে) কীভাবে ছিলেন, কী অবস্থায় ছিলেন, আসলে তার কিছু আমরা জানি না। সামান্য একটা লাইন পাওয়া গিয়েছে আয়ুব খানের ডায়েরি থেকে। সেখানে তাঁর সম্পর্কে কিছু মন্তব্য করা আছে। বঙ্গবন্ধুকে যখন কোর্টে নিয়ে আসা হত, তিনি আসতেন, দাঁড়াতেন, বসতে বললে বসতেন। এসে দাঁড়িয়েই জয় বাংলাদেশ বলতেন। বলতেন, আমাকে যা খুশি তাই করো, আমার যেটা করার আমি তা করে ফেলেছি। অর্থাৎ আমার বাংলাদেশ তো স্বাধীন হবেই। এর বাইরে একাত্তরের কিছু আমি পাইনি।” সব মিলিয়ে, অতীতের সেই যন্ত্রণাময় অধ্যায়ের কথা মনে করে আজও আবেগে ভেসে যান বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা।
নি এম/
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com