সৌদি আরবের কাছে হেরে শুরুটা ভালো হয় নি কিন্তু এরপর থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে মেসিরা। সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে গুড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে উঠে গেছে আর্জেন্টিনা। কাতার বিশ্বকাপের মহারণে আজ রাত ৯ টায় ফ্রান্সের মুখোমুখি হচ্ছে তারা। ফাইনালের মঞ্চটা বড় হলেও সেখানে আরও ৫ বার খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে আর্জেন্টাইনদের। যার মধ্যে ২ বার শেষ হাসি হাসলেও বিপরীতে কেঁদেছিল ৩ বার। লিওনেল মেসির নেতৃত্বে শেষবার ২০১৪ সালে জার্মানির কাছে হেরে শেষ কেঁদেছিল তারা।
বিশ্বকাপের প্রথম আসর হয়েছিল ১৯৩০ সালে। উরুগুয়েতে অভিষেক আসরের রানার্স-আপ ছিল আর্জেন্টিনা। স্বাগতিকদের কাছে হেরেই শিরোপা বঞ্চিত হয়েছিল তারা। তারপর দীর্ঘ ৪৮ বছর আর ফাইনালের দেখা পায়নি। মাঝে আবার তিনটি আসরে রাজনৈতিক ও কুটনৈতিক কারণে অংশই নেয়নি।
১৯৭৮ সালে দ্বিতীয়বার ফাইনালে পা রেখেই তারা তিরিশের দুঃখ ঘোচায়। পরের আসরে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নিলেও ১৯৮৬ সালে ফের শিরোপার স্বাদ পায়। পশ্চিম জার্মানিকে হারিয়ে সেবার শিরোপা জিতেছিল। পরের আসরে তারা ফের ফাইনালে নাম লেখায়। তবে সেবার আর জার্মানদের হারাতে পারেনি। তাদের কাছে হেরেই শিরোপা বঞ্চিত হয়।
তারপর দীর্ঘ ২৪ বছর তারা আর ফাইনাল খেলতে পারেনি। ২০১৪ সালে আবার ফাইনালে উঠে তারা। প্রতিপক্ষ সেই জার্মানি। তবে ছিয়াশির সুখ-স্মৃতি আর ফিরেনি। নব্বইয়ের দুঃখই তাদের ছুঁয়ে যায়। শিরোপার খুব কাছে গিয়ে ধরতে পারেননি লিওনেল মেসি।
সেই মেসির নেতৃত্বে ফের ফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা। এবার প্রতিপক্ষ ফ্রান্স। যাদের কাছে রাশিয়া বিশ্বকাপে ৪-৩ গোলে হেরে বিদায় নেয় শেষ ষোলো থেকেই। এবার তাদের সামনে সুযোগ সেই প্রতিশোধ নেওয়ার। সঙ্গে ৩৬ বছর ধরে বিশ্বকাপ খড়া ঘোচানোরও হাতছানি।
এইবেলাডটকম/মভশ
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com