দুদিন আগেই কথাটা বলেছেন ডনোভান বেইলি। একসময় ১০০ মিটারে বিশ্ব রেকর্ডের মালিক সাবেক এই কানাডিয়ান স্প্রিন্টারের মতে, উসাইন বোল্টকে হারানোর মতো কেউ নেই এ মুহূর্তে। আসন্ন লন্ডন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে বোল্টকে হারিয়ে দেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন বেইলির দেশেরই একজন! আন্দ্রে ডি গ্রাস তাঁর নাম।
লন্ডনেই শেষ—আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন উসাইন বোল্ট। বিদায়টাকে রাঙিয়ে যাওয়ার সব চেষ্টাই যে করবেন, তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। তবে বোল্টের সেই বিদায়-উৎসব ভন্ডুল করে দিতে তৈরি হচ্ছেন ডি গ্রাসও। রিও অলিম্পিকে ১০০ মিটারে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন, ২০০ মিটারে রুপা।
দুটি ইভেন্টেরই সোনার পদক উঠেছিল বোল্টের গলায়। লন্ডনে অবশ্য ২০০ মিটারে দৌড়াবেন না, এটাও আগেই জানিয়ে রেখেছেন বোল্ট। এই ইভেন্টে তাই ডি গ্রাসের ভালো সুযোগই থাকছে।২২ বছর বয়সী এই কানাডিয়ান স্প্রিন্টার বোল্টকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে চান ১০০ মিটারেও, “আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে সেরা হব।”
২০১৫ সালে ডি গ্রাস বছরে ৮৩ লাখ ইউরোর চুক্তি করেছেন ক্রীড়াসামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান পিউমার সঙ্গে। পিউমা আবার বোল্টেরও পৃষ্ঠপোষক। নিজেকে এই পর্যায়ে দেখতে পেয়ে খুবই রোমাঞ্চিত ডি গ্রাস, “চুক্তিটা করার সময়ই আমি বুঝতে পারছিলাম, এটা কী বিশাল ব্যাপার। আমি ভাবছিলাম, এই প্রত্যাশার চাপ সামলাতে পারব তো!”
চাপ সামাল দিয়েই এত দূর এসেছেন ডি গ্রাস।অলিম্পিকে তিনটি পদকজয়ী প্রথম কানাডিয়ান তিনি।কিন্তু তাই বলে নিজেকে এখনো জ্যামাইকান কিংবদন্তির বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবেন না ডি গ্রাস, এটা কোনো দ্বৈরথ নয়।বোল্ট এত দীর্ঘ সময় ধরে ট্র্যাকে রাজত্ব করছে।
আমি তো এখনো তাকে একবারও হারাতে পারিনি। যদিও আমি তাকে হারাতে পারলে খুবই খুশি হব। তবে দ্বৈরথ হতে হলে সেটার একটা ইতিহাস থাকতে হয়। তার নতুন করে প্রমাণের কিছু নেই। আর আমি এখনো নিজেকে প্রমাণের অপেক্ষায়।
এএইচ
![]() |
সম্পাদক : সুকৃতি কুমার মন্ডল খবর প্রেরণ করুন # info.eibela@gmail.com ফোন : +8801517-29 00 02 +8801711-98 15 52 a concern of Eibela Foundation |
|