ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের রক্তের সম্পর্ক। আর চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক। কোনোভাবেই এই সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার নয়। সম্প্রতি চীন দেশের ৮ হাজারের বেশি পণ্য শুল্কমুক্ত প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। এটি দেশের জন্য বড় পাওয়া। এ নিয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না।এটাকে নিয়ে কেউ কেউ রাজনীতি করার চেষ্টা করছে।
শনিবার (৮ অগাষ্ট) মেহেরপুরের ঐতিহাসিক মুজিবনগর পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি উল্লেখ করেন, ভারতের সঙ্গে সমুদ্র, সীমান্ত, নিরাপত্তাসহ আমাদের বড় ধরণের সব সমস্যা দূর হয়েছে। ছোট ছোট কিছু সমস্যা ঝুলে আছে, ঠিক হয়ে যাবে। আগামী বছর আমরা ভারতকে নিয়ে ৫০ বছর পূর্তি উৎসব করবো। প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে আমাদের নাড়ির সম্পর্ক। আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতা রক্তের সম্পর্ক সৃষ্টি করেছে। কেননা আমাদের বিজয় মানে ভারতের বিজয়। আবার ভারতের বিজয় মানে আমাদের বিজয়।
মন্ত্রী আরও বলেন, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারে ভারত এবং পাকিস্তান দুটি দেশই অন্যদেশের সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণামূলক কাজ শুরু করেছে। সেখানে আমরা কারো সঙ্গে কাজ শুরু করতে পারলাম না, এটা দু:খজনক। আমরা ভ্যাকসিন পেতে ইউরোপকে অনেক টাকা দিয়ে রেখেছি।
এ সময় মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর পাঁচ খুনি এখনও যারা জীবিত আছে, তার মধ্যে দুইজনের সন্ধান মিলেছে। একজন আমেরিকা এবং একজন কানাডা আছে। আমরা মুজিববর্ষে এই দুই খুনির একজনকে দেশে আনার জোর প্রক্রিয়া চালাচ্ছি। যাদের আনতে পারছি না সেক্ষেত্রে দূতাবাসগুলোকে বলেছি, অন্তত: মাসে একবার লোকজন নিয়ে ওই সমস্ত খুনির বাসার সামনে গিয়ে অবস্থান করতে। যেন জনগণের কাছে ধিকৃত হয়।
এর আগে শুক্রবার রাত ৯টায় মন্ত্রী মেহেরপুর সার্কিট হাউস পৌঁছালে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মনসুর আলম খাঁন তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন। পরে শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় মন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ কমপ্লেক্স এলাকা পরিদর্শনে যান। সেখানে প্রথমেই তিনি মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে মন্ত্রী মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্স এলাকা ঘুরে দেখে ঢাকার উদ্দেশ্যে মেহেরপুর ত্যাগ করেন।
নি এম/
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com