ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশি হলে নাক দিয়ে জল পড়ার সমস্যায় আমরা প্রায়ই ভুগি। তেমনই কোনও অ্যালার্জি হয়েছে ভেবেছিলেন নেব্রাস্কার ওমাহার কেন্দ্রা জ্যাকসনও। যেখানেই যেতেন সঙ্গে নিয়ে যেতে হত বাক্স ভর্তি টিস্যু। নাক দিয়ে অনবরত জল পড়া, আর তারপর গলার কাছে কফ জমে থাকার অনুভূতি। ঠিক সর্দি হলে যেমনটা হয়ে থাকে আরকি। তাই আমার আপনার মতোই এনিয়ে বেশি মাথা ঘামাননি কেন্দ্রা।
২০১৩ সালে পথ দু্র্ঘটনায় গাড়ির ড্যাশবোর্ডে মাথা ঠুকে গিয়ে আঘাত পান কেন্দ্রা। তারপর থেকেই ক্রনিক হেডেকের সমস্যায় ভুগতেন কেন্দ্রা। তবে নাক দিয়ে জল পড়ার সমস্যা কেন কমছে না তা ভেবে পেতেন না কিছুতেই।
পাঁচ বছর ধরে সমস্যা চলার পর অবশেষে তাঁর সমস্যার সমাধান করলেন ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের চিকিত্সকরা। যা শুনে আঁতকে উঠবেন আপনিও। আঘাত পেয়ে খুলির হাড় ফুটো হয়ে গিয়েছিল কেন্দ্রার। আর সেই ফুটো দিয়েই ক্রমাগত ক্ষরণ হতো সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড। প্রতিদিন প্রায় ৯০ মিলিলিটার ফ্লুইড ক্ষরণ হতো নাক দিয়ে। যা সর্দি ভাবতেন কেন্দ্রা।
অত্যন্ত বিরল এই সমস্যায় প্রতি বছরে এক লাখে পাঁচ জনের মাত্র দেখা যায়। ট্রমাটিক ইনজুরির ফলে সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড বেরিয়ে আসতে পারে নাক, কান দিয়ে। সমস্যা গুরুতর অবস্থায় পৌঁছলে অস্ত্রোপচারেরও প্রয়োজন হতে পারে। যেমনটা হয়েছে কেন্দ্রার ক্ষেত্রেও।
কয়েক সপ্তাহ আগে নেব্রাস্কা মেডিসিনের রাইনোলজিস্ট ক্রিস্টি বার্নস এবং নিউরোসার্জন ড্যান সারডেল অস্ত্রোপচার করেন কেন্দ্রার। ফ্লুইডের ক্ষরণ রুখতে তাঁর নিজের টিস্যু ব্যবহার করা হয় প্লাগ হিসেবে। এখন সুস্থ রয়েছেন কেন্দ্রা।
নি এম/
![]() |
সম্পাদক : সুকৃতি কুমার মন্ডল খবর প্রেরণ করুন # info.eibela@gmail.com ফোন : +8801517-29 00 02 +8801711-98 15 52 a concern of Eibela Foundation |
|