ফুটবল যাদুকরকে হারিয়ে কাঁদছে বিশ্ববাসী। দূর আকাশের তারা হয়ে গেলেন প্রিয় মারাদোনা। বুধবার তার মৃত্যুর খবর আসে, বজ্রাঘাতের মতো। ক্রীড়াঙ্গন তো বটেই, এই শোক ছড়িয়ে পড়ে সবখানে। ভালোবাসার বেদনাশ্রুতে সিক্ত করেন ফুটবল ঈশ্বরকে। তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোকের প্রথম দিনে প্রেসিডেন্ট প্যালেসে তার কফিনে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন আর্জেন্টিনাবাসী।
মৃত্যুকে জয় করে কতবার যে ফিরেছিলেন। কিন্তু এবার কাউকে কাউন্টডাউনের সুযোগটাও দিলেন না। একেবারে নিভৃতে, ষাটেই চলে গেলেন কিংবদন্তি দিয়োগো মারাদোনা।
বুয়েন্স আইরেসের বস্তিতে জন্ম। বেড়ে উঠেছেন দারিদ্রক্লিষ্ট পরিবারে। মারাদোনার বিশ্ব ফুটবলের সেরা সন্তান হয়ে ওঠার গল্পটা সংগ্রামের।
মাঠের অধ্যায় রুপকথার মত। সেভিয়া, বার্সেলোনা সবখানেই সাফল্যের উপাখ্যাত। ক্লাব ইতিহাসে সেরা সময় উপহার দিয়ে নাপোলিতে ছিলেন ইশ্বরতূল্য।
বুরুচাগা ও ভালদানোর মত ফুটবলার থাকতেও তাঁর একক কৃতিত্বে ৮৬ বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা। ট্রফি হাতে ইশ্বরের এই আইকনিক ছবি ফুটবল বিশ্বকাপেরই বিজ্ঞাপন।
বর্ণিল জীবনের পুরোটাই কেটেছে মারাদোনাময়। একেবারেই নিজের মত, আলাদা। শৃঙ্খলার তোয়াক্কা ছিলো না, যা ভাবতেন সেটাই নিয়ম। রীতিবিরুদ্ধ, অকপট, সোজাসাপ্টা চরিত্রের কারনে, মারাদোনা কোটি ভক্তের নয়নের মনি।
আর তাই প্রেসিডেন্ট না হয়েও, কাসা রোসাদার দরজা কারও জন্য এভাবে খুলে গেল। দেশটির রাষ্ট্রপতির বাসভবসে বিশ্ব ফুটবলের কিংবদন্তিকে শ্রদ্ধা জানাতে লাখে লাখে ছুটে আসছে মানুষ। জনতার এই স্রোত থাকবে শেষকৃত্যের আগ পর্যন্ত। মহানায়কের প্রয়াণে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক চলছে আর্জেন্টিনায়।
দেশের পতাকার সঙ্গে প্রিয় ক্লাব বোকা জুনিয়র্সের পতাকায় মোড়ানো মারাদোনার কফিন। ক্লাবটির স্টেডিয়ামে একটি বাতি প্রজ্বলন করে রাখা হয় রাতভর। একই ঘটনা নাপোলির সান পাওলোতেও, ক্লাবের সর্বকালের সেরা ফুটবলারের প্রস্থানে শোকে মুহ্যমান নেপলস।
মেক্সিকোর আজতেকা স্টেডিয়ামের গোলমুখে ফুলেল শ্রদ্ধা। এই পোস্টেই ছিলো মারাদোনার হ্যান্ড অফ গড আর শতাব্দীসেরা গোলটি।
নি এম/
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com