বিপিএলের নবম আসরে রোববার মিরপুরে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে মাশরফির সিলেট স্ট্রাইকার্স। ফলে বিপিএলে টানা তিন ম্যাচ জিতে হ্যাটট্রিক গড়ল মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার্স। হাউভোল্টেজ ম্যাচে ১৪ বল বাকি থাকেই ৫ উইকেটে জিতেছে তারা।
মিরপুর শেরে-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় সিলেট। ব্যাটিংয়ে নেমে থিসারা পেরেরার করা প্রথম ওভারের প্রথম বলে চার মেরে দারুণ শুরুর আভাস দেন কুমিল্লার ওপেনার লিটন দাস। বাউন্ডারি হাঁকান তৃতীয় বলেও। কিন্তু সম্ভাবনাময় ইনিংসটিকে অকাল পরিসমাপ্তি দেন ডানহাতি এই ওপেনার।
ওভারের চতুর্থ বলেই থার্ড ম্যান অঞ্চলে থাকা মোহাম্মদ হারিসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ফলে ৮ রানে সেই প্রথম ওভারেই ফিরতে হলো তাকে। তারপর শুরু করলেন সৈকত আলী।
পেসার মোহাম্মদ আমিরকে চার মেরে রানের খাতা খুলেন। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে প্রথম বল করতে এসে তার কাছে টানা তিন চার খেয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। সেই ওভারে ১৫ রান দেন সিলেট অধিনায়ক। তবে লিটনের মতো সৈকতও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১২ বলে ২০ রান করে পাকিস্তানি স্পিনার ইমাদ ওয়াসিমের বলে বোল্ড হন তিনি।
পরের ওভারে ক্যাপ্টেন ইমরুল কায়েস (২ রান) করে মোহাম্মদ আমিরের শিকার হয়ে ফিরলে পাওয়ার প্লের ভেতরই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে কুমিল্লা। স্কোরবোর্ডে তখন সংগ্রহ কেবল ৪৬ রান। এমন চাপের মুখেই ব্যাটিংয়ে নামেন জাকের আলী।
জুটি বাঁধেন একপ্রান্ত আগলে রাখা ওপেনার দাভিদ মালানের সঙ্গে। তবে তাদের এই জুটিতে আসে ৫৩ রান। এ জন্য ৪৯ বল খরচ করেন তারা। মালান ৩৯ বলে ৩৭ রান করে বিদায় নেন পেরেরার বলে। এরপর হাতখুলে খেলতে থাকেন জাকের। রেজাউর রহমান রাজার এক ওভারে তোলেন ১৫ রান। এর মাঝেই হতাশ করে ফিরে যান মোসাদ্দেক হোসেন ও মোহাম্মদ নবী।
মাশরাফির করা শেষ ওভারের পঞ্চম বলে আবু হায়দার রনি ছয় হাঁকিয়ে ৬ উইকেটে ১৪৯ রান পূর্ণ করে কুমিল্লা। লড়াকু এই পুঁজির পেছনে জাকেরের অবদান ৪৩ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৫৭ রান।
জবাবে ইনিংসের শুরুতেই ওপেনার হারিসকে হারায় তারা সিলেট। ব্যক্তিগত ৬ রানে আবু হায়দার রনির বলে বিদায় নেন হাসির।দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলেন তৌহিদ হৃদয়।
শান্ত ১৯ রানে ফিরে গেলে হৃদয় ৩৬ বলে তিনটি করে চার ও ছক্কায় হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। এরপর জাকির হোসেন ২০ রানে বিদায়ের পর তৌহিদ হৃদয় বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করে খুরর্শিদ শাহর বলে স্ট্যাম্পিং হয়ে বিদায় নেন।
চার উইকেটে সিলেটের দলীয় সংগ্রহ তখন ১৩৮ রান। এরপর জাতীয় দলের অভিজ্ঞ তারকা মুশফিকুর রহিম আকবর আলীকে সাথে নিয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন।
আর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এখনও জয় শূন্য।
এইবেলাডটকম/বম
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com