নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর যে প্রতিবেদন দিয়েছে তা তথ্যনির্ভর ও সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক-রাজনীতিক অবস্থার সঠিক প্রতিফলন হয়নি।
আজ রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে তৈরি প্রতিবেদন গত ১৩ এপ্রিল কংগ্রেসে জমা দেন। এতে বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং গুমের ঘটনাকে সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এ ব্যাপারে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে নিয়ে উল্লেখিত বিষয় আমাদের দৃষ্টিগোচার হয়েছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে এমন কিছু বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে যা আমাদের জন্য দু:খজনক।’ তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদনে ঘাটতি থাকায় সঠিক চিত্র উঠে আসেনি। সে কারণে প্রতিবেদনটি যাচাই-বাছাই করতে আমি অনুরোধ করছি’।
হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘তাদের প্রতিবেদনে স্বীকার করা হয়েছে যে, বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষ, বহুত্ববাদী, সংসদীয় গণতন্ত্র চলছে। তারা এ সত্য স্বীকার করেছে। তারপরও প্রতিবেদনে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নিখোঁজ, উগ্রবাদীদের দ্বারা ব্লগার হত্যা, সংবাদপত্র ও অনলাইনে মতপ্রকাশের ওপর বিধিনিষেধসহ বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
এসব বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের কোন অধিকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নেই। এ ব্যাপারে তাদের কোন আইনগত অধিকারও রাষ্ট্র দেয়নি বা সমর্থনও করে না। বর্তমান সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কোন বর্ধিত ক্ষমতা দেননি। কেউ যদি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে বা আইন বহিভূর্ত কোন কাজে জড়িয়ে পড়ে এবং তদন্তে যদি দোষী প্রমাণিত হয় তাহলে তার শাস্তি হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, শফিক রেহমান, শওকত মাহমুদ ও মাহমুদুর রহমানকে সাংবাদিকতার কারণে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাদেরকে সাংবাদিকতার বাইরে বিভিন্ন সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এইবেলা ডটকম/ এটি
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com