শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০
সর্বশেষ
 
 
যুদ্ধবিরতিতে আর্মেনিয়া-আজারবাইজান
প্রকাশ: ০৪:১৮ pm ১০-১০-২০২০ হালনাগাদ: ০৪:১৮ pm ১০-১০-২০২০
 
এইবেলা ডেস্ক
 
 
 
 


নাগারনো-কারাবাখে প্রায় দুই সপ্তাহ ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। ১০ অক্টোবর মধ্যরাত থেকেই এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্জেই ল্যাভরভ।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার সকাল থেকে মস্কোয় টানা ১০ ঘণ্টার আলোচনা শেষে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান কর্তৃপক্ষ।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিবাদপূর্ণ নাগোরনো-কারাবাখের মালিকানা ঘিরে প্রতিবেশী দুই দেশে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। ১৯৯০ এর দশকের পর এই অঞ্চলে এত বড় সংঘাত আর দেখা যায়নি।

গত দুই সপ্তাহে এ সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৩০০ জন। শুরু থেকে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানানো হলে দুই পক্ষই তা প্রত্যাখ্যান করে আসছিল। এর মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার দুই দেশের নেতাদের কাছে ফোন করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ সময় তিনি আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মস্কোয় গিয়ে শান্তি আলোচনায় অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ জানান। তার এ আহ্বানে সাড়া দিয়েই শনিবার আলোচনায় বসেছিলেন দুই দেশের মন্ত্রীরা।

রাশিয়ার শীর্ষ কূটনীতিক জানিয়েছেন, আর্মেনিয়া-আজারবাইজানের বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে মানবিক কার্যক্রমে মধ্যস্থতাকারীর দায়িত্ব পালন করবে রেড ক্রস।

আল জাজিরার মস্কো প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আর্মেনিয়া-আজারবাইজান যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে শুধু মানবিক কারণেই। তিনি বলেন, আমাদের দেখতে হবে চুক্তি মোতাবেক এ যুদ্ধবিরতি সত্যিই কার্যকর হয় কি না। তারা বন্দি বিনিময় করে কি না বা দলগুলো কয়েক দশকের এ বিরোধ মেটাতে সত্যিই আলোচনার টেবিলে যেতে রাজি কি না।

নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলটি জাতিগত আর্মেনিয়ার নিয়ন্ত্রাধীন। তবে আন্তর্জাতিকভাবে অঞ্চলটি আজারবাইজানের অংশ বলে স্বীকৃত। গত কয়েক দশকের মধ্যে ভয়াবহতম সাম্প্রতিক সংঘাতের জন্য পরস্পরকে দায়ী করে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। দুটি দেশই সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ছিল। আর্মেনিয়ায় রাশিয়ার একটি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে এবং দুটি দেশই আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোট কালেক্টিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশনের সদস্য। তবে, আজারবাইজানের সঙ্গেও রাশিয়ার সখ্য রয়েছে। এ কারণেই নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলের সংঘাত থামাতে দেশ দুটির মধ্যে মধ্যস্থতা করেছে রাশিয়া।

নি এম/

 
 
 
   
  Print  
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
আরও খবর

 
 
 

 

Editor & Publisher : Sukriti Mondal.

E-mail: eibelanews2022@gmail.com

a concern of Eibela Ltd.

Request Mobile Site

Copyright © 2024 Eibela.Com
Developed by: coder71