সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সোমবার, ২৮শে মাঘ ১৪৩১
সর্বশেষ
 
 
শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়েই খোলা যাবে ব্যাংক হিসাব
প্রকাশ: ১০:৫৭ pm ১৬-১১-২০২০ হালনাগাদ: ১০:৫৭ pm ১৬-১১-২০২০
 
এইবেলা ডেস্ক
 
 
 
 


দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যাংকে চলতি হিসাব খোলা এবং পরিচালনার পদ্ধতি সহজ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে লেনদেনের সীমা। এর আওতায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বাণিজ্যিক ব্যাংক, মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারদের কাছ থেকে সহজে সেবা নিতে পারবেন।

এ বিষয়ে সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংক, মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। 

সার্কুলারে বলা হয়, এর আওতায় ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র, প্রান্তিক পণ্য ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিরা সুবিধা পাবেন। 

সার্কুলারে বলা হয়, এখন থেকে ব্যাংক, এজেন্ট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারদের কাছে আলোচ্য উদ্যোক্তারা সেবা নিতে পারবেন। এগুলোয় তারা সহজে হিসাব খুলতে পারবেন। শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়েই এসব প্রতিষ্ঠানে চলতি হিসাব খুলে রিটেইল ব্যাংকিং পরিচালনা করা যাবে। অন্যান্য কাগজপত্র লাগবে না। এ ধরনের হিসাবে কোনো লেনদেন সীমা থাকবে না। গ্রাহকরা যত খুশি লেনদেন করতে পারবেন। অর্থাৎ হিসাব খোলার সময় গ্রাহকদের বছরে কী পরিমাণ লেনদেন হবে, এর একটি সীমা উল্লেখ করতে হয়। নতুন নিয়মে এ সীমা উল্লেখ করতে হবে না। 

তবে বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের নিয়ম অনুযায়ী ই-কেওয়াইসি বা গ্রাহককে জানার তথ্য থাকতে হবে। এক্ষেত্রে লেনদেনের সীমা কার্যকর হবে। এ সীমা মাসিক কোনোক্রমেই ১০ লাখ টাকা এবং এককালীন সর্বোচ্চ স্থিতি ১০ লাখের বেশি হবে না। হিসাব খোলার আগে গ্রাহকের পেশা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে হিসাব খোলার সময় সাধারণ কেওয়াইসির বা ই-কেওয়াইসি দুটির যে কোনো একটিতে খোলা যাবে। এসব হিসাব মোবাইল সেবাদানকারী এজেন্টের কাছে খোলা যাবে না। খুলতে হবে সেবা প্রধানকারী প্রোভাইডারের সরাসরি নিয়োগ করা কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে। এক্ষেত্রে গ্রাহকের নিজস্ব জাতীয় পরিচয়পত্র ও নিজের নামে নিবন্ধিত মোবাইল নম্বর লাগবে। 

এ হিসাবে পেমেন্ট এবং সংযুক্ত নিজ ব্যাংক হিসাব থেকে অর্থ স্থানান্তর ছাড়া অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় নগদ টাকা তোলা, অর্থ স্থানান্তর করা যাবে না। এক্ষেত্রে মাসিক ও দৈনিক ভিত্তিতে লেনদেন সংখ্যা ও টাকার পরিমাণ নির্ধারিত থাকবে। এর বেশি লেনদেন ও টাকা স্থানান্তর করা যাবে না। এসব হিসাবে সর্বোচ্চ এককালীন স্থিতি ৫ লাখ টাকার বেশি রাখা যাবে না। বিশেষ করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে হুন্ডি ও মানি লন্ডারিং বন্ধে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারদের (ই-ওয়ালেট) কাছে রিটেইল ব্যাংকিং হিসাব খোলার ক্ষেত্রে কেওয়াইসি বা ই-কেওয়াইসি পালন করতে হবে। হিসাব খোলার আগে গ্রাহকের পেশা, যোগ্যতা, নিবন্ধিত মোবাইল নম্বর দেখে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিয়োজিত কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে হিসাব খুলতে হবে। গ্রাহকের ঝুঁকি অনুযায়ী প্রয়োজন হলে গ্রাহকের পক্ষে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা পেশাজীবী সমিতির প্রত্যয়নপত্র নিতে পারবে। এ হিসাবে মাসে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা এবং এককালীন স্থিতি রাখা যাবে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা।

নি এম/

 
 
 
   
  Print  
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
আরও খবর

 
 
 

 

Editor & Publisher : Sukriti Mondal.

E-mail: eibelanews2022@gmail.com

a concern of Eibela Ltd.

Request Mobile Site

Copyright © 2025 Eibela.Com
Developed by: coder71